কলকাতা: দীর্ঘ ধর্না, অনশন কর্মসূচির পর পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসের আশ্বাস দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের পর রাজ্যকে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন আন্দোলনরত পার্শ্ব শিক্ষকদের একাংশ৷ কিন্তু তারপরেও বেতন বৃদ্ধি তো দূর, উল্টে শিক্ষকদের ওপর কাজের বোঝা চাপানো অভিযোগ তুলে ফের আন্দোলনে নামতে চলেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ তাঁদের দাবি, স্কুলছুট পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করার কাজ ফেলে স্কুলে বাড়তি ক্লাস নেওয়া একপ্রকার বাধ্যতা মূলক করার চেষ্টা চলছে৷
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, পার্শ্বশিক্ষকরা সপ্তাহের হিসাবে নির্ধারিত পাঁচ দিনে ২০টি ক্লাস ও অবশিষ্ট এক দিনে স্কুলছুটদের শনাক্তকরণের কাজ করার কথা৷ কিন্তু, পার্শ্বশিক্ষকদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত কাজকে অগ্রাহ্য করে বিভিন্ন জেলায় বেশ কিছু সার্কেলে এসআই অফিসের তরফে মৌখিক ভাবে স্কুলে ছ’দিন ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷ বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস না করে এই ধরনের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ৷
এমনিতেই, টানা ধর্না, অনশন, কর্মবিরোতির জেরে অন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকদের ডিসেম্বরের বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ এই নিয়ে কম বিতর্ক দেখা দেয়নি৷ এবার স্কুলছুটদের শনাক্তকরণে কাজ ফেলে বাড়তি ক্লাস নেওয়াকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক৷ পার্শ্বশিক্ষকদের দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম স্কুলছুটদের শনাক্ত করা৷ তাদের স্কুলে ফিরিয়ে নিয়ে আসা৷ এবার সেই কাজ যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে স্কুলছুটদের ভবিষ্যৎ কী হবে? উদ্বিগ্ন শিক্ষা মহলের একাংশ৷