নথি বিভ্রাটে বিপাকে ১৩ হাজার শিক্ষক, বর্ধিত বেতনে প্রভাবের আশঙ্কা

নথি বিভ্রাটে বিপাকে ১৩ হাজার শিক্ষক, বর্ধিত বেতনে প্রভাবের আশঙ্কা

কলকাতা: স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স (স্যাক্ট) মান্যতা প্রাপ্ত গেস্ট টিচার বা অতিথি শিক্ষকদের বেতনক্রম ও নিয়োগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা থেকেই গেল৷ ত্রুটিপূর্ণ নথি সংশোধনের জন্য অতিরিক্ত একসপ্তাহ সময় দিতে চাইছে শিক্ষা দপ্তর৷ পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী অতিথি শিক্ষক, আংশিক সময়ের শিক্ষক এবং চুক্তিভিত্তিক পূর্ণসময়ের শিক্ষকদের একসঙ্গে 'স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স'-এর মান্যতা দেওয়ার পাশাপাশি যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়৷ তবে নতুন নিয়মের আওতায় আনার জন্য তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা করতে বলা হয়েছিল আর এই নথি জমা পড়ার পরেই দেখা দিয়েছে সমস্যা৷

এই শিক্ষকদের নথি জমা পড়ার পর দেখা যায় সেখানে প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষক রয়েছেন যারা একাধিক কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান এবং তাদের নথি যাচাইকরণের পর দেখা যায় বহু শিক্ষককে 'নট ইন অর্ডার' বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এর অর্থ হয় তাঁদের জমা দেওয়া তথ্য অসম্পূর্ণ বা সেখানে কোনও  ত্রুটি রয়েছে৷ ফলে সেই শিক্ষকদের স্যাক্ট (ক্যাটিগরি টু) বিভাগের আওতায় আনা যাচ্ছে না৷

গত সপ্তাহে এবিষয়ে একটি বৈঠকের পর শিক্ষকদের নিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ সেগুলি হল তথ্য জমা পড়ার পর, পুনরায় সেগুলি যাচাই করা হবে৷ ছোটখাট ভুলভ্রান্তি থাকলে, তা ঠিক করে যাতে সেই শিক্ষকদের অনুমোদনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে৷  এজন্য ফের পোর্টাল খোলা হবে এবং ‘নট ইন অর্ডার’ শিক্ষকরা নতুন করে তাদের নথি আপলোড করতে পারবেন৷ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা নথিগুলি পরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন৷ অবশ্য তার আগে এই শিক্ষকদের নির্দিষ্ট কলেজগুলিতে একটি ই-মেলও করা হবে৷

নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষকরা এসে বিকাশ ভবনে দেখা করে যাবেন৷ এর পাশাপাশি, এই শিক্ষকদের নতুন করে নিয়োগপত্র দিতে হবে কলেজের পরিচালন সমিতিকে৷ সেই চিঠির কী বয়ান দপ্তরের আইন আধিকারিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তৈরি করা হবে৷ সেই চিঠির খসড়া  কলেজগুলির কাছে পাঠানো হবে৷ তবে যে অতিথি বা আংশিক সময়ের শিক্ষকরা গত বছরের ১৭ জুলাই বা তার ঠিক কিছুদিন আগে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের আপাতত অনুমোদন দেওয়া যাবে না বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

ত্রুটিপূর্ণ নথি বা অসম্পূর্ণ কাগজের কারণে কোনও শিক্ষক যাতে বঞ্চিত না হন, শিক্ষকদের মধ্যে যাতে কোন অসন্তোষ তৈরি না হয় সেই ব্যাপারে স্বচ্ছতা আনতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে বলে মনে করছে শিক্ষামহল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − three =