সুপ্রিম রায় অমান্য করে ‘বেআইনি’ শিক্ষক নিয়োগ বাংলায়! উঠছে প্রশ্ন

সুপ্রিম রায় অমান্য করে ‘বেআইনি’ শিক্ষক নিয়োগ বাংলায়! উঠছে প্রশ্ন

352d37ff4907fb9b0bbe52b20396b284

কলকাতা: দীর্ঘ আইনি জটের পর রাজ্যের মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের পক্ষে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ ৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণা হওয়ার পরও বিভিন্ন জেলায় সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসায় পরিচালন কমিটির মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মেনে কেন শিক্ষক নিয়োগ করছে পরিচালন কমিটি? চরম ক্ষুব্ধ রাজ্যের শিক্ষক মহল৷

অভিযোগ, সুপ্রিমো কোর্টের নির্দেশকে উপেক্ষা করে মাদ্রাসায় শিক্ষকদ চলছে৷ মূলত অভিযোগ উঠে আসছে, মেদিনীপুর, বীরভূম, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় ৪০টি মাদ্রাসা প্রায় ৭৫০ জনকে নিয়োগ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যা সম্পূর্ণ বেআইনি৷ এই নিয়ে সরব হয়েছে শিক্ষক মহল৷

এপ্রসঙ্গে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী সমস্ত মাদ্রাসায় শিক্ষক শিক্ষাকর্মী নিয়োগের অধিকার দেওয়া হয়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে৷ সংবাদে প্রকাশ সেই রায়কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিভিন্ন মাদ্রাসার পরিচালন কমিটি অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ করে চলেছে৷ অভিযোগ আসছে লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ লেনদেনের৷ আমরা শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে এই ধরনের ঘটনার প্রকৃত তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি৷ রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অবিলম্বে মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দ্রুততার সাথে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হোক ও সমস্ত অবৈধ নিয়োগ বাতিল করা হোক৷’’

মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ করবে কে? রাজ্যের মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন, না কি মাদ্রাসায় পরিচালন কমিটি? এই নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট৷ দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ দজানিয়ে দেওয়া হয়, ধর্মের ভিত্তিতে নয়, নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে৷ আর এই কাজ করবে রাজ্যের তৈরি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন৷ এই মামলার জেরে গত ২০১৪ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ হয়নি৷ ফলে সব মাদ্রাসা মিলিয়ে শিক্ষক পদে প্রায় সাড়ে সাত হাজার শূন্যপদ তৈরি হয়েছে৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরও কীভাবে বেআইনি ভাবে শূন্য পদ পূরণ করা হচ্ছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *