isro
নয়াদিল্লি: চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য ইসরোর মুকুটে নতুন পালক যোগ করেছে৷ ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়েছে ভারতের নাম৷ সেই সাফল্য থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েই পরবর্তী চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা শুরু করে দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ইসরোর প্রধান এস সোমনাথের কথায় মিলল তেমনই ইঙ্গিত। বিক্রমের দ্বিতীয় সফট ল্যান্ডিংয়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই পরবর্তী চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা করতে চান ইসরোর বিজ্ঞানীরা৷ সেই অভিযানে শুধু চাঁদের পিঠে অবচরণই নয়, চাঁদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে মহাকাশযানটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও করা হবে৷
গত ৩ সেপ্টেম্বর, সোশ্যাল মিডিয়া পেজে টুইট করে ইসরো জানিয়েছিল, চাঁদের মাটি থেকে ফের শূন্য ওড়ানো হয়েছে বিক্রমকে। সফল ভাবে দ্বিতীয়বার অবতরণও করেছে সে৷ চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডারের সঙ্গে থাকা ইঞ্জিনকে চালু করে এই কাজ করেন বিজ্ঞানীরা৷ এরপর প্রায় ৪০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় ওড়ে বিক্রম। লাফ দেওয়ার পর আগের জায়গায় থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার দূরে সফল ভাবে অবতরণ করে তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার। এই পরীক্ষা যে তাৎপর্যপূর্ণ, সে কথা তখনই জানিয়েছিল ইসরো।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছিল, নিজের মিশনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও সফলতা অর্জন করেছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। সফল ভাবে ‘হপ এক্সপেরিমেন্ট’ সম্পন্ন করে তাক লাগায় সে৷ অর্থাৎ, চাঁদের মাটি থেকে লাফিয়ে উঠে দ্বিতীয়বারের জন্য সফট ল্যান্ডিং করে বিক্রম। সেই সময় ইসরো জানিয়েছিল, ভবিষ্যতে চাঁদে মানব অভিযানের ক্ষেত্রে এই সাফল্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া আগামী দিনে চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়ে তা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও এই পরীক্ষা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু তবে হবে নতুন চন্দ্রাভিযান?
এপ্রসঙ্গে ইসরো প্রধান বলেন, ‘‘পরবর্তী অভিযানের জন্য এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আমরা আমাদের সিস্টেমগুলিকে এমনভাবে তৈরি করতে চলেছি যাতে এটি ফিরতি ফ্লাইট ধরে পৃথিবীতে অবতরণ করতে পারে। আমাদের হপ এক্সপেরিমেন্ট এই বৃহত্তর পরিকল্পনারই একটি অংশ ছিল।’’