বেতন বঞ্চনার প্রতিবাদ, কাজ লাটে তুলে বিদ্রোহ শিক্ষা কর্মীদের

বেতন বঞ্চনার প্রতিবাদ, কাজ লাটে তুলে বিদ্রোহ শিক্ষা কর্মীদের

af270ba77f39eeefc89502eadfe615d7

কোচবিহার: কলেজে কর্মরত ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের সরকারি স্বীকৃতি-সহ গুচ্ছ দাবিতে কলেজের গেট আগলে বিক্ষোভ দেখালেন কর্মচারীদের একাংশ৷ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়িজ সমিতির রাজ্য কমিটির ডাকে আজ কলকাতা ও কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ‘বঞ্চনা’র প্রতিবাদে অবস্থান আন্দোলনে সামিল হন৷

কর্মচারী সমিতির দাবি, আগামী দুদিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে দাবিপত্র জমা দেওয়া হবে৷ আজ প্রথম দিনের কর্মচূতিতে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বিভিন্ন কলেজের ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা এই অবস্থান ও ডেপুটেশানে যোগ দেন৷ বিক্ষোভ কর্মসূচির জেরে  কার্যত লাটে ওঠে কলেজের কাজ৷ মঙ্গলবার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে অবস্থান শুরু হবে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে৷

সংগঠনের দাবি, উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী-সহ তাদের দপ্তরে একাধিকবার লিখিত আবেদন জানিয়েও  সমস্যার সমাধান হয়নি৷ আর সেই কারণে আজ কর্মচারীরা একপ্রকার বাধ্য হয়ে পথে নামতে বাধ্য হয়েছে৷ 
সরকার চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী কর্মচারীদের সরকার স্বীকৃতি ও নিরাপত্তা দিলেও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধীন কলেজের কর্মচারীরা তা থেকে এখনও বঞ্চিত বলে অভিযোগ৷ এছাড়া কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষক, অতিথি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সরকার স্বীকৃতি দিলেও এক ছাদের তলায় কর্মরত কলেজের শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে কেন বঞ্চিত? কেন এই বৈষম্য? প্রশ্ন সংগঠনের৷

সংগঠনের দাবি, কলেজে কর্মরত সমস্ত ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের সরকারি স্বীকৃতি দিতে হবে? অন্যান্য দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী কর্মচারীদের মতো কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে৷ নির্দিষ্ট বেতনক্রম চালু-সহ সরকারি আদেশনামা ৩৯৯৮ F(p2) এর অন্তর্ভূক্তিকরন করতে হবে বলেও দাবি তোলা হয়েছে৷ সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই দাবি তাঁদের ন্যয্য৷ এটা তাঁদের অধিকার৷ আর সেই কারণে উপাচার্যকে ডেপুটেশান দেওয়ার পর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় বড় ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *