কলকাতা: ক্লার্কশিপ পার্ট-১ পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রকাশ করল পিএসসি৷ ২০১৯ সালের ক্লার্কশিপ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে গত ২৫ জানুয়ারি৷ একই দিনে দুটি পর্বে পরীক্ষা গ্রহণ হয়৷ কিন্তু, দু’টি পর্বের প্রশ্নপত্র নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ প্রশ্নের বিকল্প উত্তর ‘ভুল’ আছে বলে আগেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আজ বিকেল ডট কম৷ বুধবার ক্লার্কশিপ পরীক্ষা উত্তরপত্র প্রকাশ করে সেই ‘ভুলে’র স্বীকৃতি তো দূরের কথা, পিএসসির নয়া ‘উত্তর’ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ পিএসসির নয়া উত্তরে রাতিরাতি বদলে যেতে বসেছে বাংলার মানচিত্র৷
গত ২৫ জানুয়ারি বিকালে ‘PSC-র প্রশ্নপত্রে ‘হাউডি মোদি’, BJP সাংসদের নাম! প্রশ্ন ‘ভুলে’ তুঙ্গে বিতর্ক!’ -শীর্ষক প্রতিবেদনে আজ বিকেল ডট কমে প্রকাশিত হয়৷ সেখানে ক্লার্কশিপ পরীক্ষায় বিতর্কিত রাজনৈতিক প্রশ্নপত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ একই সঙ্গে ‘পশ্চিমবঙ্গে কতগুলি জেলা রয়েছে?’ সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের বিকল্প উত্তরের ক্ষেত্রেও রয়েছে ধোঁয়াশা বলে আগেই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজ বিকেল ডট কম৷ এবার কমিশনের তরফে ওই প্রশ্নের সঠিক ‘উত্তর’ জানানো হয়েছে৷
ক্লার্কশিপ পার্ট-১ পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রকাশ করে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গে কতগুলি জেলা রয়েছে?’ এই প্রশ্নের সঠিক জবাব, ‘২৪’টি৷ বর্তমান রাজ্যের ২৩টি জেলা সরকারি ভাবে মান্যতা দেওয়া হলেওল তা রাতারাতি বদলে দিয়েছে৷ প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের থেকে জানতে চাওয়া হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গে কতগুলি জেলা রয়েছে?’ সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের বিকল্প উত্তরে ‘২৩’ সংখ্যাটি উল্লেখ করা হয়নি৷ বিকল্প উত্তরে বলা হয়, ২১, ১৯, ২৪, ২২৷ এক্ষেত্রে সঠিক বিকল্প খুঁজতে গিয়ে বিপাকে পড়েন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ পরে উত্তপত্র প্রকাশ করে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে মোটা জেলার সংখ্যা ‘২৪’টি৷ কিন্তু, রাজ্য সরকারের নিজস্ব ওয়েবসাইট বলছে, বর্তমানে রাজ্যের জেলার সংখ্যা ২২টি, কলকাতা বাদ দিয়ে সেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে প্রশাসনিক কাজের জন্য৷
অর্থাৎ কলকাতা যোগ করলে সংখ্যাটি হবে ২৩টি৷ যদিও আগামী দিনে আরও দুটি জেলা বাংলার মানচিত্রে স্থান পেতে চলেছে৷ বসিরহাট ও সুন্দরবন৷ সেক্ষেত্রে তা বেড়ে হতে চলছে ২৫টি৷ কিন্তু, কোন যুক্তিতে পিএসসি রাজ্যের জেলার সংখ্যা ‘২৪’টি সঠিক বলে বিবেচিত করল, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ এক্ষেত্রে যাঁরা ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সঠিক বিকল্প না থাকায় যাঁরা প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন, নম্বর কাটার ভয়ে, সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন৷ প্রয়োজনে তথ্য জানার অধিকারে পিএসসির কাছে এই প্রশ্নের উত্তরের ব্যাখ্যা চাওয়ার বিষয়েও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ এছাড়াও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে৷ সেই প্রশ্নগুলি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে৷
গোটা বিশষটি নজরে আসার পর পিএসসি দুর্নীতি মঞ্চের তরফে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, অবিলম্বে আমরা এই উত্তরপত্রের সঠিকমূল্যায়ন চাইছি৷ কারণ, যাঁরা বিকল্প উত্তর দেখে বিভ্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের নম্বর দেওয়ার দাবিও জানাচ্ছি৷ যদিও কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর নিয়ে কোনও আপত্তি থাকলে তা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির থেকে পরবর্তী সাতদিন পর্যন্ত অভিযোগ জানানো সুযোগ থাকবে৷ wbpsc.gov.in-এর ওয়াবসাইটে সেই গিয়ে আপত্তি জানাতে হবে৷ তবে নির্দিষ্ট সময়ের পরে কোনও উত্তর নিয়ে আপত্তি তুললে তা গ্রাহ্য হবে না৷ এই লিঙ্কে দেখুন পিএসসির উত্তরপত্র- http://pscwbapplication.in/pdf20/ANSWER_KEY_02_2020.pdf -এই লিঙ্কটি ক্লিক করলেই একটি পিডিএফ ফাইল খুলে যাবে৷ তারপর বুকলেট অনুযায়ী তা মিলিয়ে নিন৷