টানা ধর্না দিয়ে বেতন বৃদ্ধি দাবি আদায় কর্মীদের, স্বাভাবিক গৌড়বঙ্গ

টানা ধর্না দিয়ে বেতন বৃদ্ধি দাবি আদায় কর্মীদের, স্বাভাবিক গৌড়বঙ্গ

ইংরেজবাজার: অবশেষে পাঁচ দিন পর গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা কাটল। শুক্রবার দুপুর দু'টার পর থেকে কর্মবিরতি ছেড়ে কাজে যোগ দিয়েছেন আন্দোলনরত ১২২ জন অস্থায়ী কর্মী। তার আগে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাতভর বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও হয়ে থাকেন অস্থায়ী রেজিস্টার বিপ্লব গিরি। অস্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিস্তর আলোচনার পরই এদিন ঘেরাও মুক্ত হন রেজিস্টার।
সারাবাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট সভাপতি শুভায়ু দাস বলেন , আমাদের যে সব দাবি ছিল। সেইসব দাবিগুলি মেনে নেওয়ায় আমরা কাজে যোগ দিয়েছি। তবে মূল যে দাবি সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া। সেটা কতটা কার্যকর হচ্ছে তা দেখার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি এবং সরকারি সুযোগ সুবিধাসহ ১০ দফা দাবি নিয়ে সোমবার থেকে আন্দোলন শুরু করেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী কর্মীরা। এই পাঁচ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক আধিকারিককে ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিকালে রেজিস্টার বিপ্লব গিরি  গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আসতেই তাকে ঘিরে শুরু হয় অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভ, আন্দোলন। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে একাংশ আন্দোলনকারী বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কার্তিক দাস নামে এক অস্থায়ী কর্মীদের সাসপেন্ড করার নির্দেশ জারি করা হয়। যা নিয়ে অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরি বলেন, ইউনিভার্সিটি কাউন্সিলের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অস্থায়ী কর্মীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি কার্যকর করা হয়েছে। যার মধ্যে ইন্টারিম বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিও রয়েছে। ইন্টারিম কথাটি এই জন্যই বলা হচ্ছে, যে রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই ইন্টারিম বেতন দেওয়া হবে। এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম দারুণভাবে ব্যাহত হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজও করা যাচ্ছিল না। এইসব বিষয়ই অস্থায়ী কর্মীদের বলা হয়েছে। এরপরই তারা বুঝতে পেরে নিজেদের আন্দোলন থেকে সরে এসেছে।

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসুম নূর বলেন, আমরা চাই দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসুক। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রছাত্রীরা যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে নানান রকম হয়রানির শিকার হন তা ঠিক নয়। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে সমস্ত বিষয় জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − three =