তৃণমূলের দিল্লি-ধর্নায় চার ‘বিজেপি’ বিধায়ক! তুমুল আলোচনা

তৃণমূলের দিল্লি-ধর্নায় চার ‘বিজেপি’ বিধায়ক! তুমুল আলোচনা

bjp mla

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লির রাজঘাটে ধর্না দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক এবং একশো দিনের কাজের ‘বঞ্চিত’ জব কার্ড হোল্ডাররা সকালেই এই ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সবথেকে বেশি আলোচনা যাদের নিয়ে হচ্ছে তারা ‘বিজেপি’ বিধায়ক। হ্যাঁ, তৃণমূলের এই ধর্নায় চারজন ‘বিজেপি’ বিধায়ক ছিলেন। অবশ্য তারা এখন খাতায়-কলমে বিজেপির, পরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন।

কথা হচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, বাঁকুড়ার বিষ্ণপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল এবং উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের। এঁরা সকলেই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন বিজেপির টিকিটে। বিধানসভার নথি অনুযায়ী তাঁরা এখনও বিজেপির বিধায়ক। কিন্তু আদতে তারা প্রত্যেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর এই ধর্নায় যোগ দিয়ে তারা যে আদতে বিজেপি-বিরোধী তা বুঝিয়েছেন। অবশ্য কেন তারা এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন তাও জানান। তাঁদের কথায়, কোনও দলের বিরুদ্ধে নয়, বাংলার মানুষের দাবিতে আন্দোলনে এসেছেন তারা। এটা আদতে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। 

এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য বাকি নেতারা রাজঘাটে গিয়ে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানান। তারপর নির্ধারিত সময়ে তাদের ধর্না শুরু হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই রাজঘাট থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। এমনিতেই রাজঘাট চত্বরে সবসময় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তার ওপর আজ গান্ধী জয়ন্তী ছিল। সেই কারণেই নিরাপত্তার ইস্যুতে এই পদক্ষেপ নেওয়া বলে জানায় তারা। শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সাংবাদিক সম্মেলন পূর্ণ করতে পারেননি। তাঁকেও বেরিয়ে যেতে হয়।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *