strong earthquake
কলকাতা: রাজনৈতিক ঝড়ে উত্তাল দিল্লিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়৷ শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানী। রিখটর স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.২। মঙ্গলবার দুপুর ২টো বেজে ৫১ মিনিটে কেঁপে ওঠে দিল্লির মাটি। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, কম্পনের কেন্দ্র নেপালের ভাতেখোলা থেকে ২ কিলোমিটার দূরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে। প্রায় ৪০ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়। ভালোমতোই টের পাওয়া যায় এর তীব্রতা৷
দিল্লি, এনসিআর ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের লখনউ, হাপুর, আমরোহাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের কিছু কিছু অংশেও মাটি কেঁপে উঠেছে। এদিকে, ভূকম্পন অনুভূত হতেই আতঙ্ক ছড়ায় রাজধানীর বুকে। তড়িঘড়ি রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন বহুতলের বাসিন্দারা৷ আতঙ্কের সেই ভিডিয়ো নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে রবিবার রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল হরিয়ানার বেশ কিছু অংশ। সেদিন রাত ১১টা ২৬ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে দিল্লির পড়শি রাজ্যের মাটি। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল রোহতক থেকে ৭ কিলোমিটার পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্বে।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের ‘বঞ্চনা’র প্রতিবাদে দিল্লি যখন তৃণমূলের আন্দোলন উত্তাল, ঠিক তখনই কেঁপে উঠল রাজধানীর ময়দান। সোমবার রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানিয়ে ধর্না শুরু করেন অভিষেক সহ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী থেকে বিধায়ক, সাংসদরা। হাতে প্ল্যাকার্ড হাতে রাজঘাটে বসে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। কিন্তু দিল্লি পুলিশ এসে জোর করে তাঁদের সরিয়ে দেয়। রীতিমতো হুইসল বাজিয়ে, ধাক্কাধাক্কি করে তৃণমূলের লোকজনকে রাজঘাট থেকে ঠেলে বার করে অমিত শাহের পুলিশ। রাজনৈতিক উত্তেজনায় কেঁপে উঠেছিল রাজঘাট৷ এর ঠিক পরের দিন প্রকৃতির রুষ্ট রূপ দেখল দিল্লিবাসী৷