sikkim
গ্যাংটক: মঙ্গলবার রাতেও স্বাভাবিকভাবে কেউ ভাবতে পারেনি বুধবার ভোর থেকে তাণ্ডবলীলা শুরু হবে। সেই তাণ্ডব শুরু হওয়ার পর এখন সিকিমকে দেখলে ভয় লাগবে। তিস্তার ধ্বংসলীলার জেরে উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
তিস্তায় হড়পা বানের জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গন জেলা। ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে সেতু, সেনা ছাউনি সব ভেসে গিয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের, নিখোঁজ অন্তত ১২০ জন। তবে এখনও বিরাট অঞ্চল জলে ডুবে আছে। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা।
বুধবার ভোর থেকে তাণ্ডব শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত তা যে পুরোপুরি শান্ত হয়েছে এমন নয়। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ধস নামছে ক্রমাগত। ধসের ফলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক গতকালই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, এখনও বন্ধ। তার একটা বড় অংশ ভেঙে পড়েছে নদী গর্ভে। প্রশাসন জানিয়েছে, জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গা ধীরে ধীরে তিস্তার নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
এদিকে তিস্তা সংলগ্ন এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। এর ফলে সেখানকার মাটিও সরছে ধীরে ধীরে। দীর্ঘক্ষণ জল জমার কারণে ওইসব এলাকা পলিতে ভরে গিয়েছে। আর এখন জল নেমে আসায় দেখা হচ্ছে পলিতে কার্যত ‘ডুবে’ রয়েছে একাধিক গাড়ি।
আসলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি খানিকটা কমে যাওয়ার ফলে তিস্তার জলস্তর নামতে শুরু করেছে। কিন্তু এতক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বহু অংশে বাড়িঘরের অস্তিত্ব নেই। রাজ্যের একটা বড় অংশ কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে।