চারিদিকে ভয়াবহতা! এখনই রাজ্যে আসতে বারণ করছে সিকিম প্রশাসন

চারিদিকে ভয়াবহতা! এখনই রাজ্যে আসতে বারণ করছে সিকিম প্রশাসন

state govt

গ্যাংটক: বুধবার ভোরে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং আচমকা লোনক হ্রদ ফেটে সিকিমে ভয়াবহ বন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ও একই সঙ্গে নিখোঁজ শতাধিক। সাধারণ মানুষের সঙ্গে একাধিক সেনাও আছে যাদের খোঁজ মিলছে না। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পর্যটকদের আপাতত রাজ্যে আসতেই বারণ করছে সিকিম প্রশাসন। কবে পরিস্থিতি ঠিক হবে তা এখন থেকে বলা যাচ্ছে না। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য সিকিম পর্যটকদের জন্য কার্যত বন্ধ। 

বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে যাঁরা সিকিমে বেড়াতে আসার পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা বাতিল করুন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সব স্বাভাবিক হলেই রাজ্য আবার পর্যটকদের স্বাগত জানাবে। উত্তর সিকিমের একাধিক জায়গা সহ গোটা রাজ্যের বিক্ষিপ্ত অংশ এখন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। তাই যাদের বুকিং ছিল সেইসব বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে হোটেল, রিসর্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে যারা এই মুহূর্তে সিকিমে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েছেন তাঁদের উদ্ধারের কাজ চলছে। লাচেন, লাচুং সহ উত্তর সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের কপ্টারের সাহায্যে উদ্ধারের কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। 

জানা গিয়েছে, বিপর্যয়ের জেরে সিকিমে বাংলা সহ বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মহারাষ্ট্র মিলিয়ে অন্তত ৩ হাজার পর্যটক এখন হোটেল বন্দি। গ্যাংটক-শিলিগুড়ি ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নীচে নেমে আসার কোনও উপায় নেই। এই অবস্থায় কপ্টারই একমাত্র ভরসা। তবে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলে তবেই উদ্ধার কাজ শুরু করা যাবে। আপাতত উত্তর সিকিম কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপের চেহারা নিয়েছে।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =