many
গ্যাংটক: লোনক হ্রদ ফেটে হড়পা বান, তাতেই কার্যত বিধ্বস্ত সিকিমের একটা বিরাট অংশ। প্লাবিত তিস্তা নদীর দু-কূল, তলিয়ে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি৷ তিস্তার জলে ডুবেছে জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ৷ জলের ধাক্কায় ধুয়ে মুছে সাফ রাজ্যের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বহু মানুষ নিখোঁজ, শুধু তাই নয় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তিস্তার জলে ২৬টি মৃতদেহ ভেসে এসেছে। সেই সংখ্যা যে আরও বাড়তে পারে তার আশঙ্কাও আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিমের চুংথাম এলাকা। যদিও গোটা রাজ্যের একাধিক বিপর্যস্ত অঞ্চল জুড়ে আটকে রয়েছেন প্রায় ৭ হাজার পর্যটক। আগেই মারাত্মক ছবি সামনে এসেছিল যেখানে দেখা গিয়েছিল পলিতে রীতিমতো ডুবে রয়েছে একাধিক গাড়ি। এছাড়া বহু গাড়ি, ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে তিস্তার জলে। সাধারণ মানুষ থেকে সেনাকর্মী, অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন এই ঘটনায়। এখনও নদীতে একাধিক দেহ ভেসে আসতে দেখছে নদী পাড়ের বাসিন্দারা। এই অবস্থায় সিকিমের একাংশে আগামী ৪-৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ইতিমধ্যে সিকিম ও বাংলা মিলিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সাতটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সিংহভাগ৷ স্বাভাবিকভাবেই বিঘ্নিত বিদ্যুৎ উৎপাদনে। বন্ধ সরবরাহ। যার জেরে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। চাপ বাড়তে শুরু করেছে বাংলার প্রকল্পগুলির উপরে। যার একাংশ আবার বন্ধ। এরই মধ্যেই রাজ্যের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আপৎকালীন সাহায্য চেয়েছে সিকিম সরকার। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে সিকিমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলে, স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে পড়তে হবে উত্তরবঙ্গকে।