many parts
গ্যাংটক: লোনক হ্রদ ফেটে হড়পা বান, তিস্তার জলের স্রোতে কার্যত সর্বনাশ হয়েছে সিকিমের। ছোট, সুন্দর এবং পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় এই রাজ্যের চেহারাটাই বদলে গিয়েছে। তিস্তার জলে ডুবেছিল জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ সহ রাজ্যের একাধিক অঞ্চল৷ এখন জল সরলেও পলি সরছে না। আস্ত শহর ডুবে আছে পলিতে। তার তলায় যেন বিসর্জন হয়েছে বাইক থেকে বাসের! জনশূন্য সিকিমের বহু অঞ্চল।
চুংথাম থেকে শুরু করে রংপো, ভয়াবহতার ছাপ রয়েছে সর্বত্র। এদের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রংপো। পারতপক্ষে গোটা শহরই তিস্তার পলি মিশ্রিত মাটির নীচে ঢুকে আছে। শহরের মেইন রোড খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বড় বড় হাইরাইজ হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ বাড়িঘরের অন্দরে অন্দরে তিস্তার পলি। সব মিলিয়ে বেদনাদায়ক চিত্র ফুটে উঠছে সব জায়গায়। আপাতত সিকিম প্রশাসন জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়ে শহরের রাস্তা বের করবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই অবস্থায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, পলি সরে গেলে আরও অনেক মৃতদেহ উদ্ধার হবে। এমনিতেই অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তিস্তার জলে ২৬টি মৃতদেহ ভেসে এসেছে। সেই সংখ্যা যে আরও বাড়তে পারে তার আশঙ্কাও আছে। গোটা রাজ্যের একাধিক বিপর্যস্ত অঞ্চল জুড়ে আটকে রয়েছেন প্রায় ৭ হাজার পর্যটক।
সিকিম ও বাংলা মিলিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সাতটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সিংহভাগ৷ স্বাভাবিকভাবেই বিঘ্নিত বিদ্যুৎ উৎপাদনে। বন্ধ সরবরাহ। যার জেরে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। সব মিলিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে সিকিম।