২.৫ লক্ষ শূন্যপদে রেলের নিয়োগ কবে? অপেক্ষায় ২ কোটি চাকরিপ্রার্থী

২.৫ লক্ষ শূন্যপদে রেলের নিয়োগ কবে? অপেক্ষায় ২ কোটি চাকরিপ্রার্থী

নয়াদিল্লি: কিছু না হলেও এক বছর অতিক্রান্ত৷ এখনও পর্যন্ত থমকে রেলের একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা৷ আর তার জেরে বছরভর চাকরির অপেক্ষায় দিন গুনছেন দেশের অন্তত ২ কোটির বেশি চাকরিপ্রার্থী৷

লোকসভা ভোটের আগে রেলে বেশকিছু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়৷ শূন্যপদ ছিল প্রায় দেড় লক্ষ৷ আবেদনকারী ছিলেন প্রায় আড়াই কোটি বেশি৷ এক বছর পর জানা যাচ্ছে না সেই পরীক্ষার দিনক্ষণ৷ সহকার কি আদৌ নিয়োগ করতে চায়? নাকি সবটাই ছিল ভোটের আগে লোক দেখান? পরীক্ষার ফি বাবদ প্রায় হাজার কোটি টাকা সরকারের ভাণ্ডরে ঢুকলেও এখনও পর্যন্ত কেন নিয়োগ পরীক্ষার দিনক্ষণ প্রকাশ করা হল না? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷

গত বছর লোকসভা ভোটের মুখে লক্ষাধিক শূন্যপদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল৷ চারটি ক্ষেত্রেও মিলিয়ে লক্ষাধিক শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়৷ এর মধ্যে সবথেকে বেশি ছিল গ্রুপ ডি বা লেভেল ওয়ান পদের জন্য৷ এক লক্ষ তিন হাজার ৭৬৯টি শূন্যপদ এছাড়াও রেল রিক্রুটমেন্ট বোর্ড নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটাগরি এনটিসিপি নামে বেশি পরিচিত, তার জন্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি৷ দুটি বিভাগ মিলিয়ে মোট ৩৫ হাজার ২৬৭ শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানানো হয়৷ এর মধ্যে ১০ হাজার ৬৮২ শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানানো হয়েছিল৷ যাদের জন্য নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ৷ দ্বিতীয় ক্ষেত্রের শিক্ষাগত যোগ্যতা বলা হয়েছিল স্নাতক৷ এক্ষেত্রে শূন্যপদ ছিল ২৪ হাজার ৬৪৯টি৷ একই সঙ্গে প্যারামেডিকেল ক্ষেত্রেও ১৯৩৭ শূন্যপদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল৷ সব মিলিয়ে গত বছরে দেড় লক্ষ নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছিল৷

ওই পদে নিয়োগের জন্য দুই কোটির বেশি আবেদন জমা পড়ে৷ বছর পেরোলেও পরীক্ষা এখনও হয়নি৷ এর মধ্যে গ্রুপ ডি পদে ১ লক্ষ ৩ হাজার ৭৬০ পদের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ২৪৮টি৷ আরআরবি-এনটিপিসি ৩৫ হাজার ২৬৭ শূন্যপদের জন্য ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৮৫ জন ফরম পূরণ করেন৷ অর্থাৎ দুটি ক্ষেত্র মিলিয়ে প্রায় আড়াই কোটি আবেদন জমা পড়ে৷
প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদন ফি বাবদ ৫০০ টাকা করে দিতে বলা হয়েছিল৷ সংরক্ষিত প্রার্থীরা ২৫০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছিলেন৷ সেই আবেদনে সাধারণ ও সংরক্ষিত কতজন ফরম পূরণ করেছে তার নির্দিষ্টভাবে না জানার কারণে ফর্ম পূরণ করে মোট কত টাকা সরকারের ঘরে এসেছে তা স্পষ্ট না হলেও সংখ্যা যে কয়েক হাজার কোটি টাকা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *