নয়াদিল্লি: বিশ্বে মহামারির আকার নিয়েছে করোনা৷ সংক্রমণের ছোবল থেকে বাঁচতে বাড়িতে বসেই কাজ করার সুপারিশ করছে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা৷ কিন্তু গার্টনারের রিপোর্ট বলছে, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর সুযোগই নেই অধিকাংশ ভারতীয় কোম্পানিতে৷
গুগল বা মাইক্রোসফটের মতো সংস্থার কর্মীদের কাছে প্রত্যন্ত গ্রামে বসে ভিডিও কনফারেন্স বা কোলাবরেশন টুলের মাধ্যমে কাজ করা কোনও সমস্যাই নয়৷ ভারতেও বেশ কিছু বহুজাতিক সংস্থা তাদের কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজের সুবিধা দিয়েছে৷ কিন্তু নন-আইটি এবং মাঝারি ও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কোনও সুযোগই নেই৷ সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট বলছে, ভারতের ৫৪ শতাংশ সংস্থার কর্মীরা এই সুযোগ পাবেন না। কারণ সেই সমস্ত সংস্থার উপযুক্ত পরিকাঠামোই নেই। পুরনো ল্যাপট, দুর্বল নেটওয়ার্ককে সম্বল করে কাজ চালাচ্ছে এই সংস্থাগুলি৷
গার্টনারের রিপোর্ট আরও জানাচ্ছে, বাড়ি থেকে কাজ করতে সাহায্য করে এমন বেশকিছু সফটওয়্যার যেমন গুগল হ্যাংআউট,, স্কাইপি, জুম, সিসকো ওয়বএক্স, গোটু মিটিং, মাইক্রোসফট টিম, গ্রুপ চ্যাট সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই অধিকাংশ কর্মীর৷ এদিকে বিপিও বা কেপিওগুলির পক্ষেও কর্মীদের রোজকার বৈঠক করা সম্ভব হবে না।
সমীক্ষা জানাচ্ছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের আরও একটি অসুবিধা রয়েছে। সংস্থার অফিসে বসে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারের চেয়ে বাড়ির ল্যাপটপে সেই সফটওয়্যার ব্যবহার করা অনেক বেশি ব্যয়সাপেক্ষ।
তহে শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতে কাজ বন্ধ রাখার চেয়ে নন-আইটি কর্মীদের লেটেস্ট ডিজিটাল সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজের কৌশল শেখানো উচিত৷ এর ফলে কাজের গতি প্রথমে কিছুটা ধাক্কা খেলেও, শেষটা ভালোই হবে৷