মৃত্যুপুরী! তুরস্কের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার পার, প্রবল ঠান্ডা আর ক্ষুধার জ্বালায় গৃহহীনরা

মৃত্যুপুরী! তুরস্কের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার পার, প্রবল ঠান্ডা আর ক্ষুধার জ্বালায় গৃহহীনরা

আঙ্কারা: তুরস্ক যেন মৃত্যুপুরী৷ ক্রমেই বেড়ে চলেছে মৃত্যু মিছিল৷ সোমবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গেল ২১ হাজার৷ ১৯৯৯ সালে তুরস্কের উত্তর পশ্চিমে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছিল ১৭ হাজার মানুষের৷ ২০২৩-এর ভূমিকম্প সেই বিভৎসতাকেও ছাপিয়ে গেল৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এদিকে, আহতের সংখ্যাও প্রায় ৭২ হাজার৷ 

আরও পড়ুন- বেলুনকাণ্ডের পর কোন পথে আমেরিকা-চিন সম্পর্ক? এবার কি অস্ত্র তুলে নেবে বেজিং-ওয়াশিংটন?

মাথার উপর ছাদ নেই৷ তার উপর প্রবল ঠান্ডা আর খাদ্যাভাবে দিশেহারা তুরস্ক৷ যাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করতে না পারলে ঠান্ডার জেরেই প্রাণ হারাবেন আরও বহু মানুষ৷ বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা৷ এই অবস্থায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই সিরিয়ায় আসছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। ধ্বংসস্তুপ যত সরছে তত বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫১৷ এর মধ্যে সিরিয়াতে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩৭৭ জনের। বাকিরা সকলেই তুরস্কের মানুষ। আহতের সংখ্যা ৭২ হাজার ৮৭৯। 

তুরস্ক ও সিরিয়ার মানুষের অভিযোগ, ঠিক মতো উদ্ধারকাজ করা হচ্ছে না৷ পৌঁছচ্ছে না পর্যাপ্ত ত্রাণ৷ আসলে ভূমিকম্পের অভিঘাতে অধিকাংশ সড়কপথই নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছতে উদ্ধাকারী দলকে বেগ পেতে হচ্ছে৷ তার উপর তুরস্করে চলছে শৈত্য প্রবাহ। তাপমাত্রা ০ থেকে ৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে৷ এই পরিস্থিতিতে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমিকম্পের হাত থেকে বাঁচলেও কনকনে শীত আর খিদে জ্বালায় মরতে হবে তাঁদের। কোনও কোনও এলাকায় খাবার জলটুকু নেই৷ যদিও ভারত- সহ বিশ্বের বহু দেশই তুরস্ক ও সিরিয়ার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷ সেখানে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের প্রতিনিধি ও উদ্ধারকারী দল৷