লেগেছে মহামারী, ১০ দিনেই EPF থেকে উধাও ২৮০ কোটি

করোনা পরিস্থিতিতে পেনশন তহবিল থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ নয়া নির্দেশিকায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ৭৫ শতাংশ টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ এই নিয়ম কার্যকর হতেই ১০ দিনের মধ্যে ইপিএফ থেকে ২৮০ কোটি টাকা তোলা হল গোটা দেশে৷

34dae7bef531ae56ddd254d37cf736b9

নয়াদিল্লি:  করোনা পরিস্থিতিতে পেনশন তহবিল থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ নয়া নির্দেশিকায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ৭৫ শতাংশ টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ এই নিয়ম কার্যকর হতেই ১০ দিনের মধ্যে ইপিএফ থেকে ২৮০ কোটি টাকা তোলা হল গোটা দেশে৷

এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)-এর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনায় বিশেষ ছাড়পত্র পাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৭ হাজার উপভোক্তা তহবিল থেকে ২৭৯ কোটি ৬৫ লক্ষ কোটি টাকা তুলেছেন৷ 

গত ২৬ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান, শীঘ্রই ইপিএফ বিধি সংশোধন করা হবে, যাতে কর্মীরা তাঁদের ইপিএফ তহবিলে জমা অর্থের ৭৫ শতাংশ অথবা তাঁর তিন মাসের বেতন, এর মধ্যে যেটি কম, অগ্রিম হিসাবে তুলে নিতে পারেন৷  ওই টাকা তাঁদের ইপিএফওকে ফেরত দিতে হবে না৷ এতদিন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু কারণে ইপিএফ তহবিল থেকে অগ্রিম টাকা তুলে নিতে পারলও চাকরির মেয়াদের মধ্যেই ওই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হতো। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সকলকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়। ১ এপ্রিল থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়৷ এই দশ দিনে ঝড়ের গতিতে ইপিএফ থেকে টাকা তুলতে শুরু করেন কর্মীরা৷ 

ইপিএফও-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নিয়মের কথা উপভোক্তাদের জানানোর পরই ১.৩৭ লক্ষ ক্লেম জমা পড়ে৷ টাকা ছাড়াও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ কেওয়াইসি জমা দেওয়া থাকলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই টাকা ছাড়া হচ্ছে৷ তবে করোনা পরিস্থিতিতে জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সমস্যা বা কেওয়াইসি-র বিষয়টিও শিথিল করা হয়েছে৷ এর মধ্যেই অটল পেনশন যোজনা থেকেও উপভোক্তারা যাতে আংশিক টাকা তুলতে পারেন, সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ দুই এক দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে পিটিআই সূত্রে খবর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *