কর্মী ছাঁটাই রুখতে একগুচ্ছ দাওয়াই আইএসএফের, মিলবে সুফল?

লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশঙ্কার পারদ চরতে শুরু করেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে৷ অনিশ্চয়তায় পর্যটন শিল্প৷ তাঁদের উদ্বেগের স্পষ্টতই কারণ রয়েছে৷ সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হল চাকরির অনিশ্চয়তা৷ 

নয়াদিল্লি:  লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশঙ্কার পারদ চরতে শুরু করেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে৷ অনিশ্চয়তায় পর্যটন শিল্প৷ তাঁদের উদ্বেগের স্পষ্টতই কারণ রয়েছে৷ সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হল চাকরির অনিশ্চয়তা৷

ভারতে রিটেল বা খুচরো শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রায় ৪ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ৷ যাঁদের মধ্যে ৬০ লক্ষ কর্মী যুক্ত রয়েছেন মডার্ন রিটেলের সঙ্গে৷ অন্যদিকে, বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ৷ রেস্তোরাঁর কর্মী সংখ্যাও নেহাত কম নয়৷ প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ কাজ করেন দেশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়৷ করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের ধাক্কায় এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ উপার্জন কমে গিয়েছে৷ ফলে কর্মী ছাঁটাই একপ্রকার অনিবার্য৷ এই অবস্থায় সরকারের কাছে অর্থনৈতিক সাহায্যের আর্জি জানাল রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েসন অফ ইন্ডিয়া৷ সরকারি মদতে লকডাউন পরবর্তী সময়ে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় দিন কাটাচ্ছেন তারা৷ 

ক্ষুদ্র শিল্পক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাই এড়াতে ইন্ডিয়ান স্টাফিং ফেডারেশনের (আইএসএফ) তরফে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে বেশকিছু সুপারিশ করে হয়েছে৷ বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী,  প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ-এর অধীনে থাকা কর্মী এবং সংস্থার মালিকদের মূল বেতনের ১২ শতাংশ তহবিলে জমা দিতে হয়৷ তাদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে এই টাকার অংক কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হবে মালিক এবং কর্মচারী উভয়েই উপকৃত হবেন৷ এই সংকটের সময়ে হাতে বাড়তি টাকা এলে শুধু কর্মচারীরাই নন, উপকৃত হবেন মালিকপক্ষও৷ এই টাকায় প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারবেন তাঁরা৷   

অন্যদিকে চুক্তিভিত্তিক কর্মী যাঁদের সঞ্চয়ের কোনও পরিল্পনাই ছিল না, তাদের থেকে বেতনের প্রায় ৪০ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য৷ তারা তাদের প্রতিদিনের চাহিদাই ঠিক মতো মিটিয়ে উঠতে পারছেন না৷ এর উপর টাকা কেটে নেওয়া হলে, চরম সমস্যায় পড়তে হবে তাদের৷ 

তবে সারা দেশে আগামী এক বছরের জন্য কর্মীদের ন্যূনতম পারিশ্রমিক বাড়ানোর বিপক্ষেই মত দিয়েছে আইএসএফ৷ তাদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এপ্রিল ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত কোনও রাজ্য সরকার যাতে ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধি না করে তা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা৷ এর ফলে যে সকল মানুষ কর্মরত আছেন, তাঁরা অন্তত কর্মহীন হবেন না৷ উপকৃত হবেন মালিকরাও৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 4 =