PF থেকে টাকা তোলা কতটা লাভজনক? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

PF থেকে টাকা তোলা কতটা লাভজনক? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

নয়াদিল্লি: গোটা দেশে লকডাউন জারির কারণে নাগরিকদের সুবিধার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে সরকার। বদল এসেছিল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অরগানাইজেশন-এর (ইপিএফও) নিয়মেও। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে কর্মীরা প্রয়োজনে তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলতে পারবেন। নির্দিষ্ট কিছু শর্তে এমনই ঘোষণা করেছিল ইপিএফও। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে প্রায় ২৮০ কোটি টাকা তুলে ফেলেছেন কর্মীরা। এছাড়া আরও কয়েক লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু এই অবস্থায় পিএফ-এর টাকা তোলা কার্যত কতটা লাভজনক, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ বিশেষজ্ঞদের।

করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের সময়সীমা। এদিকে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে আগেভাগেই পিএফ-এর ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। সেই নিয়ম অনুসারে কোনও কর্মীর প্রভিডেন্ট ফান্ডে যত টাকা আছে, তার ৭৫ শতাংশ অথবা তিন মাসের বেতন তোলার আবেদন করতে পারবেন গ্রাহকরা। এক্ষেত্রে বিকল্পদু'টির মধ্যে যেটি কম, সেটিই পাবেন তাঁরা। এর ফলে প্রায় চার কোটি গ্রাহক লাভবান হবেন বলেই মনে করা হচ্ছিল।

এদিকে বাড়ির নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটা, চিকিৎসা অথবা করোনা ত্রাণের জন্য পিএফ-এর টাকা না তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ হিসেবে প্রথমেই তাঁরা পিএফ-এর দীর্ঘমেয়াদী সুবিধার কথা বলেছেন। ঝুঁকি নেই। এছাড়া আলাদা কোনও কর দিতে হয় না পিএফ-এর সঞ্চয়ের জন্য। উদাহরণ দিয়ে তাঁরা জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি ৭৫ হাজার টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে তোলেন এবং তাঁর যদি রিটায়ারমেন্ট হতে এখনও ৩০ বছর বাকি থাকে, তাহলে সুদসমেত প্রায় ৯ লক্ষ টাকা হারাবেন ওই ব্যক্তি। তাই ভবিষ্যতের সুরক্ষায় হাত দেওয়া কি সঠিক সিদ্ধান্ত? ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার আবেদন মঞ্জুর করেছে ইপিএফও। পিএফ বাবদ কর্মীরা প্রায় ২৭৯.৬৫ কোটি টাকা তুলেও ফেলেছেন। করোনা মহামারীর জেরে আরও ৪ লক্ষের আবেদন জমা পড়েছে বলেই সংবাদসূত্রে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *