নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার বাজি পুড়ল দিল্লিতে৷ দীপাবলির রাতে দূষণের কালো চাদরে ঢাকল পড়ল রাজধানীর আকাশ৷ সোমবার রাজধানীর এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্সে বাতাসের মান ছিল অত্যন্ত খারাপ৷ বাতাসের গুণমান কোথাও ৫০০, কোথাও আবার ৯০০ ছাড়াল। এতটা দূষণ গত কয়েকবছরে দেখা যায়নি। শুধু দিল্লি নয়, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু-সহ একাধিক রাজ্যের বাতাসের মান বাজির দূষণে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে বলে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে খবর।
বিষাক্ত ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়েছে রাজধানীর বাতাস। দৃশ্যমানতাও অনেক কমে এসেছে। কিছুদিন আগে বরুণদেবের আশীর্বাদে ধুয়ে মুছে গিয়েছিল দিল্লির দূষণ৷ কিন্তু, দিল্লিতে যে কোনও রকম বাজি পোড়ানো হয়েছে, তাতে ফের দূষণ চরমে৷ অথচ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বাজি ফাটানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যানবাহন চলাচলেও জোড়-বিজোড় নীতি চালু হয়েছিল। দৃষণের চাদর ছিন্ন ভিন্ন করতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে দিল্লি সরকার। এরই মধ্যে দিল্লিবাসীর বেপরোয়া মনোভাবে হতবাক পরিবেশবিদরা৷ শুধু যে আসত বাজি ফেটেছে তা নয়, শব্দবাজির তাণ্ডবেও দিল্লিবাসীদের ওষ্ঠাগত প্রাণ৷
দীপাবলির পরের দিন সকালে দিল্লির বাতাসের মান ৫০০র গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে বলে একটি বেসরকারি সংস্থার দাবি। তারা জানাচ্ছে, এদিন বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর রাজধানী দিল্লি।কেন্দ্রীয় বোর্ড জানাচ্ছে, দিল্লির বাতাসের মান ভয়ঙ্কর খারাপ৷ একিউআইয়ে বাতাসের মান কত, সেই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা না হলেও জানা যাচ্ছে সকাল আটটা নাগাদ দিল্লির একাধিক এলাকায় একিউআই ছিল তিনশোর উপরে।
গত রাত্রে দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল ৫০০-র উপরে৷ জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামের আশপাশে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৯১০৷ লাজপত নগরে রাতে একিউআই পৌঁছেছিল ৯৫৯, কারোল বাগ এলাকায় ছিল ৭৭৯।