narendra modi
নয়াদিল্লি: যে কোনও সেলেব্রেটি বা বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আয় কত তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে কৌতূহল থাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তারা জানতে চান, এই সব ব্যক্তিরা কত টাকা উপার্জন করেন, সারাদিন কী খান বা কোথায় কোথায় যান ইত্যাদি। আর ব্যক্তির নাম যদি নরেন্দ্র মোদী হয় তাহলে তো কথাই নেই। তাঁকে সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানার ইচ্ছা কার থাকে না। দেশের প্রধানমন্ত্রীর আয় কত, এই প্রশ্ন যে অধিকাংশ মানুষের মননে জন্মায় তা বলাই বাহুল্য। সেই তথ্য কিন্তু প্রকাশ্যে এসেছে।
কিছুদিন আগেই নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে বড় বিষয় সামনে এসেছিল। বন্ডের টাকা কোথা থেকে আসছে তা জানার অধিকার আমজনতার নেই বলেই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে জানা গিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ডের কারণে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি দলই। বাকি রাজনৈতিক দলগুলিরও অনুদান বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু বিজেপির মতো কেউই লাভ করতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবে এরপরই বিজেপি শীর্ষস্থানীয় নেতা নরেন্দ্র মোদীর উপার্জন নিয়ে কৌতূহল বেড়ে যায় মানুষের মধ্যে। সেই কৌতূহলের নিরসন ঘটেছে আপাতত। তবে যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে অনেকেই অবাক হবেন।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সম্পত্তি সম্পর্কে ঘোষণা করেছেন। তাতে জানা গিয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্কের গান্ধীনগর শাখায় তাঁর ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। গত এক বছরে এই লগ্নির পরিমাণ ৩৭ লক্ষ টাকা বেড়েছে। কিন্তু তাঁর কোনও ঋণ নেই। গাড়ি বা কোনও জমির মালিকানাও নেই। এমনকি তাঁর কোনও জীবন বিমা পলিসিও নেই। তবে ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়া ন্যাশনাল সেভিংস স্কিমে কিছু সঞ্চয় রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, গত এক বছরে সেই সঞ্চয় ১৪ হাজার ৫০০ টাকা বেড়েছে। হিসেব বলছে, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এনএসসিতে মোদীর সঞ্চয়ের পরিমাণ ৯ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা।
আরও একটি বড় বিষয় হল, নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি কোনও বেতন নেন না। পুরোটাই দান করেন। তাই এই মুহূর্তে তাঁর হাতে নগদের পরিমাণ ৩০ হাজার ২৪০ টাকা। আর গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাঁর ব্যাঙ্কে ব্যালান্স মাত্র ৫৭৪ টাকা ছিল। দেশের প্রধানমন্ত্রীর ওই একটিই মাত্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।