‘প্রতিশ্রুতি’ রাখেননি শিক্ষামন্ত্রী! মেলেনি সার্টিফিকেট, বিদ্রোহ TET উত্তীর্ণদের

‘প্রতিশ্রুতি’ রাখেননি শিক্ষামন্ত্রী! মেলেনি সার্টিফিকেট, বিদ্রোহ TET উত্তীর্ণদের

7d0bdfbba934de000c20e1d07caaa311

 

কলকাতা: একদিকে করোনা নিয়ে সমস্যা ক্রমেই জটিল হচ্ছে। অন্যদিকে বেকারত্বের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন রাজ্যের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ ও ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা। ২০১৫ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের ধীরে ধীরে নিয়োগ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অথচ আজও তাঁরা বয়ে বেড়াচ্ছেন বেকারত্ব। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তাঁদের এখন একটাই দাবি, প্রতিশ্রুতি মতো তাঁদের নিয়োগ করা হোক।

২০১৫ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর কেউ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, কারও আগেই ছিল। ডিএলএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণদের সংখ্যা প্রায় ১,২০০। তাঁদের দাবি, তিনবছর আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'যাঁরা টেটে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা যদি প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেন, তাহলে তাঁদের ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে।' এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অনেকেই অর্থকষ্টের মধ্যেও ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি গত তিনবছরে পূরণ করেনি সরকার। যোগাযোগ করে হয়েছে শিক্ষা দফতরেও। কিন্তু তাও কোনও সুরাহা পাননি চাকরিপ্রার্থীরা। করোনার জেরে বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে একপ্রকার নিরুপায় হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন তাঁরা।

প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত প্রার্থী প্রিয়ব্রত দাস বলেন, 'আমরা শিক্ষামন্ত্রীর ওপর নির্ভরশীল। তাঁর পূর্ব প্রতিশ্রুতিই আমাদের আজ একমাত্র আশা ভরসা। আমাদের টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে বেকারত্ব থেকে মুক্তি দিন। আমাদের ও আমাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর। আমাদের অনেকের বয়সই ৩০-৩২ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে।'

75336a905fdbfdeaa213e9b1a94b7e33

অন্যদিকে ২০১৫ প্রাথমিক টেটের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে টেট পাস করা প্রার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এমনকী, আদালতের তরফেও টেট উত্তীর্ণদের সার্টিফিকেট প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিল। অথচ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এখনও পর্যন্ত তাঁদের সার্টিফিকেট দেয়নি বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। একইসঙ্গে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ২০১৫-২০১৭, ২০১৬-২০১৮, ২০১৭-২০১৯ বর্ষের ডিএলএড প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীও৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের দাবি, করোনা মহামারীর আবহে তাঁদের নিয়োগের বিষয়টি যেন একটু গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে শিক্ষা দপ্তর৷ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ও টেটে পাস প্রার্থীদের সাটিফিকেট দেওবার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *