ইস্তানবুল: মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ২১ হাজার। বছরের শুরুর এই বিধ্বংসী ভূমিকম্পে অতীতের ‘রেকর্ড’ ছাপিয়ে গিয়েছে তুরস্ক। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ কারণ ধ্বংসস্তূপ থেকে পরপর উদ্ধার করা হচ্ছে একের পর এক লাশ। সেখান থেকে জীবিত মানুষকে উদ্ধার করার সংখ্যা বলতে গেলে নগণ্য। এই অবস্থায় আবার বড় ধরনের আতঙ্কের খবর সামনে এল। অনুমান করা হচ্ছে, আরও শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে তুরস্কে এবং তা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই।
আরও পড়ুন- বেলুনকাণ্ডের পর কোন পথে আমেরিকা-চিন সম্পর্ক? এবার কি অস্ত্র তুলে নেবে বেজিং-ওয়াশিংটন?
রাশিয়ার এক সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিয়ে এক ভূ বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই প্রবল ভূমিকম্প হবে পশ্চিম তুরস্কে এবং রিখটার স্কেলে তার পরিমাপ হতে পারে ৭ বা তার বেশি! যে জায়গায় কম্পন হওয়ার কথা তিনি বলেছেন সেখানে নাকি ২৫০ বছর অন্তত ভূমিকম্পের সম্ভাবনা দেখা দেয়। আর শেষবার এই এলাকায় ভূমিকম্প হয় ২৮৭ বছর আগে। তাই বিজ্ঞানীর আশঙ্কা, পরবর্তী ভূকম্পন হওয়ার সময় চলে এসেছে। তবে এই দাবি তিনি ‘হাওয়ায় হাওয়ায়’ করেননি বলেই জানিয়েছেন ওই বিজ্ঞানীর। তাঁর কথায়, বিগত কিছু সময় ধরেই তিনি ওই এলাকার ক্রিয়াকলাপ রেকর্ড করেছেন। ভূমিকম্পের প্রকৃতি সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। তিন বছর আগেই নাকি তিনি জানিয়েছিলেন যে এখানে ভূমিকম্প হবে। তাই তিনি এখন থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রশাসনকে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টার লড়াই, মৃত্যুভয় জয় দিদি-ভাইয়ের! Siblings rescued after 17 hours under rubble” width=”560″>
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫১৷ এর মধ্যে সিরিয়াতে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩৭৭ জনের। বাকিরা সকলেই তুরস্কের মানুষ। আহতের সংখ্যা ৭২ হাজার ৮৭৯। এদিকে প্রবল ঠান্ডা আর খাদ্যাভাবে দিশেহারা তুরস্ক৷ যাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করতে না পারলে ঠান্ডার জেরেই প্রাণ হারাবেন আরও বহু মানুষ, এমনই আশঙ্কা৷