নয়াদিল্লি: সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার কারণে নানা মানসিক ও শারীরিক জটিলতার শিকার হতে হয়। বিজ্ঞানীরা এই সংক্রান্ত গবেষণার জন্য চার ধরনের মানুষকে বেছে নিয়েছিলেন। তারা হল, যাঁরা প্রতিদিন নিয়মিত সকালে ওঠেন, যাঁরা মাঝেমধ্যে সকালে ওঠেন, যাঁরা মাঝেমধ্যে দেরি করে ঘুমান এবং যারা প্রতিরাতে নিয়মিত রাত জাগেন। এই চারটি বিভাগে থাকা অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ৩৮ থেকে ৭৩ বছরের মধ্যে।
আন্তর্জাতিক ক্রোনোবায়োলজি জার্নাল সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, যে সকল ব্যক্তি নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তার গড় আয়ু রাতজাগা ব্যক্তিদের থেকে সাড়ে ছয় বছর বেশি৷ সকালবেলায় যাঁরা ঘুম থেকে ওঠেন, তাঁদের অকাল মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম৷ আর যাঁদের দেহঘড়ি অনিয়মে চলে তাদের অকালে প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়তেই থাকে৷ এখানেই শেষ নয়৷ দেখা গিয়েছে, রাত জাগার বদভ্যাস যারা গড়ে তুলেছেন তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ বিভিন্ন মানসিক ব্যাধির শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকে, ৩০ শতাংশের থাকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি৷ এছাড়া স্নায়বিক সমস্যা থেকে শুরু করে অন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়৷
নিজের দেহঘড়িকে নিয়মের মধ্যে আনতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিয়েছেন ঘুম বিশেষজ্ঞরা:
- শোওয়ার জায়গাটা এমন হতে হবে যেখানে সূর্যের আলো সহজেই পৌঁছয় কিন্তু রাতের বেলায় অন্ধকার থাকে।
- প্রতিরাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় যাওয়া এবং সেটা যেন খুব দেরিতে না হয়।
- সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য নিজের প্রতি কঠোর হতে হবে। ঘুমের সময়ের সঙ্গে কোনও অবস্থাতেই আপস করা চলবে না। দিনের কাজ দিনেই শেষ করতে হবে।
- ঘুমানোর সময় মোবাইল ও ল্যাপটপকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।