‘কোভিড ডিউটি’র শর্তে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নবান্নের! সিঁদুরে মেঘের শঙ্কা

‘কোভিড ডিউটি’র শর্তে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নবান্নের! সিঁদুরে মেঘের শঙ্কা

কলকাতা: রোগীর তুলোনায় কম চিকিৎসক৷ করোনা আবহে চিকিৎসায় ঘাটতি আরও বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুন৷ তার ওপর দল বেঁধে ভিন্ রাজ্যের নার্সদের কলকাতা ত্যাগে সমস্যা জটিল হয়েছেউঠেছে পরিস্থিতি৷ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া ঘাটতি মোকাবিলায় এবার বেশ কয়েকটি জেলা, স্বাস্থ্য জেলা ও মেডিক্যাল কলেজকে আগামী দু’মাসের জন্য অস্থায়ী কর্মী ও চিকিৎসক নিয়োগের ছাড়পত্র দিচ্ছে রাজ্য৷ কিন্তু, কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়া স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ রোগীদের আরও ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে না তো? প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ৷

রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে৷ চাপ বাড়ছে রোগীর৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অস্থায়ী নিয়োগ হচ্ছে বলে খবর৷ নবান্ন ও স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইএনটি থেকে শুরু করে মেডিক্যাল অফিসার, ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট থেকে মলিকিউলার বায়োলজিস্ট থেকে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, নার্স থেকে ফার্মাসিস্ট থেকে বিভিন্ন ধরনের অ্যাটেনডেন্ট ও রাঁধুনি-সহ একাধিক পদে নেওয়া হচ্ছে অস্থায়ী কর্মী৷

বিভিন্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পদে অস্থায়ী কর্মী নেওয়ার কথা বলা হয়েছে৷ পাঁচটি জেলা, দু’টি স্বাস্থ্য জেলা ও কলকাতা মেডিক্যালে এই নিয়োগ হওয়ার কথা৷ ইএনটি’র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদে করোনা চিকিৎসায় কাজ করার জন্য সরকার মাসিক ৫০ হাজার টাকা ভাতা দেব৷ মেডিক্যাল অফিসারদের মাসিক ভাতা দেওয়া হবে ৪০ হাজার টাকা৷ একই টাকা দেওয়া হবে মলিকিউলার বায়োলজিস্টদের ক্ষেত্রেও৷ ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে মাসিক ১৭ হাজার ৯২০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে৷ নার্স, ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট ও টেকনোলজিস্টদের দেওয়া হচ্ছে ১৭ হাজার ২২০ টাকা মাসিক  ভাতা৷ ফার্মাসিস্টরা ১৬ হাজার ৮৬০ টাকা, প্যারামেডিক্যাল কর্মী ১৬ হাজার টাকা ও অন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাটেনডেন্ট ও রাঁধুনি ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে খবরে প্রকাশ৷

গত ২৮ মে নির্দেশনামা প্রকাশিত হওয়ার মাত্র দু’দিনের মধ্যে প্রায় ৬০০ অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ তবে করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তা ও অস্থায়ী চাকরির মেয়াদ মাত্র দু’মাস হওয়ার কারণে চাহিদা অনুপাতে লোক পেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্তারা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *