শরীর খারাপের এই লক্ষণ এড়িয়ে যাওয়ার মানেই সমূহ বিপদ

আজ বিকেল: বয়স বাড়লে স্বাস্থ্যসচেতনতা আপনাকে ভাবাচ্ছে? তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চেকআপের বন্দোবস্ত করুন। একটা জিনিস সবসময় মাথায় রাখবেন, শরীর খারাপ হলে প্রথমে আপনিই তা বুঝতে পারবেন, কারুণ সেই শরীরের অধিকারী তো আপনি নিজেই। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে শরীর বড় রকমের অসুস্থতায় ভোগার আগে অবশ্যই আপনাকে জানান দেবে, সেই উপসর্গকে মোটেই হেলাফেলা ভাবে

5c883fd821e058194839990c8b05c6b6

শরীর খারাপের এই লক্ষণ এড়িয়ে যাওয়ার মানেই সমূহ বিপদ

আজ বিকেল: বয়স বাড়লে স্বাস্থ্যসচেতনতা আপনাকে ভাবাচ্ছে? তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চেকআপের বন্দোবস্ত করুন। একটা জিনিস সবসময় মাথায় রাখবেন, শরীর খারাপ হলে প্রথমে আপনিই তা বুঝতে পারবেন, কারুণ সেই শরীরের অধিকারী তো আপনি নিজেই। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে শরীর বড় রকমের অসুস্থতায় ভোগার আগে অবশ্যই আপনাকে জানান দেবে, সেই উপসর্গকে মোটেই হেলাফেলা ভাবে নেবেন না, জানবেন, একটা সামান্য কারণ একদিন বিরাট বড় বিপর্যয়ের রূপ নিতে পারে তাই। অসুস্থতার উপসর্গ টের পেলেই আগে ডাক্তারের কাছে যান রুটিন চেকআপ করান, কারণ অসুখ বাসা বাঁধার আগেই যদি শরীরকে সচেতন করতে পারেন, তবে তার থেকে আর মঙ্গলের কিছু হতে পারে না।

শরীর খারাপের লক্ষণ সম্পর্কে এই উপসর্গকে এড়িয়ে যাওয়ার অর্থ সমূহ বিপদ। চলুন একবার চোখ বোলানো যাক।

অস্থিরতা: আপনি কী কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না? দশবার ভাবছেন, এর জেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন। হঠাৎ হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, তাহলে জলশূ্ন্যতায় ভুগছেন আপনি, অথবা অ্যালঝাইমারে আক্রান্ত এমনকী, শরীরে বিবিধ ভিমটামিনের অবাব যদি একসঙ্গে অনুভূত হয় তাহলেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।

চুল পড়া: এক নাগাড়ে চুল পড়া নিয়ে ভাবছেন, তড়িঘড়ি রূপটানে নজর দিয়েছেন। তেল শ্যাম্পু বদলে ফেলেছেন, এমনকী নিয়মিত পার্লারে গিয়ে চলছে স্পা ট্রিটমেন্ট। এরফলে আলগা একটা ফল পেতেই পারেন। চুলের নিস্তেজ ভাব উধাও হয়ে স্বাস্থ্য ফিরতে পারে। চুল ঝরার প্রবণতাও কমতে পারে। যদি বছরের কোনও এক নির্দিষ্ট ঋতুতে খুসকির সমস্যা থাকে তাহলেও দূর করার পদ্ধতি রয়েছে। এথেকেও চুল ঝরতে পারে তবে তা মরশুমী বিষয়। কিন্তু তারপরেও যদি দেখেন চুল ঝরা ম্যাসিভ আকারে ঘটছে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সাধারণত অপুষ্টি, রক্তাল্পতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব মানসিক চাপ। মূলত এসবের সঙ্গে আপনার ওঠাবসা থাকলে সাধের চুল অতীত হল বলে। অল্পস্বল্প সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

চর্মরোগ, বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে ফুসকুরি জাতীয় সমস্যায় ভোগেন, সারা শরীরে লাল লাল ফুসকুড়ি, চুলকোচ্ছে, ফুলে গিয়ে অস্বস্তির এক শেষ। এর বিভিন্ন কারণ হতে পারে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তলানিতে এসে ঠেকলে এমন পরিস্থিতি ঘটতেই পারে, এবার ফুসকুড়িরও বিভিন্নতা থাকে, কোনওটা এগজিমা, কোনওটা আবার ত্বকের শুষ্কতা থেকেও হতে পারে আর এলার্জি তোল এখন মুড়িমুড়কির মতো হচ্ছে। তবে চর্মরোগের সমস্যায় ভুগলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন অবহেলা করলে বিড়ম্বনার শেষ থাকবে না।

ওজন কমে যাওয়া: আচমকা ওজন কমে যাওয়া কিন্তু ভাল লক্ষণ নয়। অনেকদিন ধরেই ভাবছেন ডায়েটে থাকবেন কিন্তু কিছুতেই করে উঠতে পারছেন না এরমধ্যে সামান্য জ্বর জ্বর ভাব হল আর তারপর দেখলেন রোগা হতে শুরু করেছেন, রুটি চেকআপে গিয়ে আবিষ্কার করলেন হঠাৎ করেই একবারে অনেকটা ওজন কমে গিয়েছে। কোনওরকম মেনটেন, শারীরিক কসরত ছাড়া এমনকিছু ঘটলে সুখী হওয়ার কথা মাথাতেও আনবেন না। তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিন, এই ঘটনা বড় কোনও ব্যধির সূত্রপাত হতে পারে।

ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়া: এই উপসর্গ কিন্তু ডায়াবেটিস টুএয়ের লক্ষণ। যদি দেখেন আপনার সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটছে তাহলে দেরি না করে ব্যবস্থা নিন।

 রক্তপাত: ক্ষতস্থানে কোনওভাবে আঘাত লাগলে তা ফের রক্তাক্ত হতে পারে। কিন্তু যদি দেখেন পটি বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়ছে তাহলে একদম এড়িয়ে যাবেন না।

দৃষ্টিশক্তির বদল: চোখের দৃশ্যমানতায় যদি দেখেন পরিবর্তন এসেছে তাহলে অবশ্যই সুগার পরীক্ষা করান। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া স্নায়ুর সমস্যা ঘোরতর পর্যায়ে গেলেও চোখের দৃশ্যমানতা ঝাপসা হতে পারে, একই জিনিস দুটো দুটো দেখতে পারেন, ভাসমান দৃশ্যকল্প আপনার চোখের সামনে নেচে বেড়াতে পারে। এমন কোনও উপসর্গ থেকেলেই স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। বারবার পিপাসার্ত হওয়াও কিন্তু একটা উপসর্গ, রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে ও শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অবস্থানগত বদল হলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। হলুদ প্রস্রাব আসলে শরীরে জলশূন্যতার কারণ, এই উপসর্গ লিভারের অসুখেরও আভাস দেয়। শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া ঠোঁটের অর্থ হল ডিহাইড্রেশন। শরীরে ভিটামিন বি-এর অভাব ঘটলেই এমনটা হতে পারে।

তাই উপরিউক্ত উপসর্গের যে কোনও একটি যদি আপনার শরীরে থেকে তাহলে তাহলে নিজে নিজে ডাক্তারি করার চেষ্টা করবেন না, যত তাড়াতড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *