একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে যৌন জীবন? মুক্তি পেতে মাথায় রাখুন বিশেষ নিয়ম

একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে যৌন জীবন? একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু সেই রোজনামচা থেকে মুক্তি পেতে পারেন৷ তবে, কিছু নিয়ম মেনে চললেই প্রতিবারই দারুণ উপভোগ করবেন আপনি৷ যাঁদের যৌন জীবন খুব সুখের, তাঁরা অনেক সময়েই আরও নতুন কিছু ট্রাই করে দেখার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। সুস্থ যৌন জীবনের ক্ষেত্রে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনও বিকল্প নেই, এটা যেমন

93491eaa2885d62dd9fbfef3506a48b9

একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে যৌন জীবন? মুক্তি পেতে মাথায় রাখুন বিশেষ নিয়ম

একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে যৌন জীবন? একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু সেই রোজনামচা থেকে মুক্তি পেতে পারেন৷ তবে, কিছু নিয়ম মেনে চললেই প্রতিবারই দারুণ উপভোগ করবেন আপনি৷

যাঁদের যৌন জীবন খুব সুখের, তাঁরা অনেক সময়েই আরও নতুন কিছু ট্রাই করে দেখার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। সুস্থ যৌন জীবনের ক্ষেত্রে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনও বিকল্প নেই, এটা যেমন ঠিক, তেমনই এটাও ঠিক যে সে বিষয়ে যৌনসঙ্গীর সায় থাকাটাও খুব জরুরি। তিনি রাজি না থাকলে জোর করে কিছু করতে যাওয়াটা শোভন হবে না। আগে বোঝার চেষ্টা করুন আপনার স্বামী বা সঙ্গী কতটা এক্সপেরিমেন্ট করতে আগ্রহী। যদি এমন হয় যে আপনার খুব ইচ্ছে করছে অথচ উনি দ্বিধায় ভুগছেন, তা হলে ব্যাপারটা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করে দেখতে পারেন। সব ক্ষেত্রে সারপ্রাইজ়ের ফল ভালো হয় না। অনেক সময় এমনকী চোট-আঘাতও লেগে যেতে পারে। ২০১৪ সালের ‘জার্নাল অফ ইউরোলজি’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, ‘উওম্যান অন টপ’ পজ়িশনটা পুরুষের পক্ষে সবচেয়ে বিপজ্জনক, এ থেকে পেনিসে চোট লাগা ও ফ্র্যাকচারও হতে পারে।

বহুদিন ধরে একজনের সঙ্গেই যৌন সম্পর্ক থাকলে একঘেয়েমি আসাটা খুব স্বাভাবিক। নতুন কিছু ট্রাই করে দেখার অবসর থাকে না, দুটি মিলনের মধ্যে ব্যবধান ক্রমশ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে সন্তান, কেরিয়ারের চাপ, রোজের জীবনের স্ট্রেস সব যুক্ত হয়ে সম্পর্কের আঁচটা ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ে। ইচ্ছে থাকলেই কিন্তু আবার প্রথম দিনের মতো আনন্দ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এমনিতেই সেক্সোলজিস্টরা প্রায়ই বলেন যে, সবচেয়ে শক্তিশালী সেক্স অরগ্যান হচ্ছে মানুষের ব্রেন এবং তাকে যথাযথ ট্রেনিং দিলেই যৌন জীবন রঙিন হয়ে উঠতে পারে। একঘেয়েমি কাটানোর জন্য প্রথমেই যেটা করতে পারেন তা হচ্ছে নানা রকম পজ়িশন ট্রাই করে দেখা। রোল প্লে বা কোনও বিশেষ অনুভূতিকে চেপে রেখে অন্যগুলোকে কার্যকর করার চেষ্টা (যেমন চোখ বা হাত বেঁধে রাখা)…অজস্র অপশন আছে। আপনার মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা সবচেয়ে সাহসী সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসিগুলোকে রোজের জীবনে অ্যাপ্লাই করে দেখুন। বা সঙ্গীর সঙ্গে শহরের বাইরে কোথাও একটা ‘ডার্টি উইকএন্ড’ প্ল্যান করে দেখুন, যেখানে আপনাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা থাকবে শরীরী খেলা!  প্রেম আর যৌন চেতনা কখনওই মানুষকে ছেড়ে যায় না, দৈনন্দিন জীবনের চাপে পিছনের সারিতে চলে যায় মাত্র। সেগুলোকে সামলে আগ্রহ ফিরিয়ে আনাটা আপনার দায়িত্ব।

ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড বললেই মনের মধ্যে নানা চিত্রকল্প জেগে ওঠে। বারে কোনও সেক্সি অপরিচিতের সঙ্গে আলাপ হল, প্রথম থেকেই দারুণ লাগল মানুষটাকে এবং অচেনা কোনও হোটেলের ঘরে দুর্দান্ত একটা রাত কাটালেন আপনারা… লোকটা কেমন, তাঁর সঙ্গে আপনার মনের মিল হবে কিনা, বিয়ের পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারবেন কিনা, এতশত না ভেবে কেবল উপভোগ করার জন্য কোনও অপরিচিতের সঙ্গে যে সম্ভোগ হয়, তার তুল্য আনন্দ অন্য কিছুতে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড নিয়ে মানসিক উত্তেজনা তৈরি হয় এবং সেটা মুড বিগড়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভেবে-চিন্তে এগোলেই ঠিক করবেন। অতি অবশ্যই সঙ্গে কন্ডোম রাখবেন। অচেনা কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্কে যাওয়ার আগে কনট্রাসেপশন সঙ্গে রাখা মাস্ট, না হলে অনভিপ্রেত গর্ভসঞ্চার বা এসটিডি-র আশঙ্কা থেকেই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *