শিশুর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে মেনে চলুন বিশেষ কিছু কিছু টিপস

আজ ৭ এপ্রিল৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস৷ এই দিনটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সচেতনতা প্রচার ও প্রসারের জন্য বেছে নেওয়া হয়৷ তবে সব থেকে বেশি জরুরি শিশুদের স্বাস্থ্যের উপরে নজর দেওয়া৷ আর সে ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতার প্রসার সব থেকে বেশি জরুরি৷ একই সঙ্গে শিশুর খাদ্যাভ্যাসের বিষয়টিও বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া জরুরি৷ আজকাল

5c2a01d40f76bfb69efb89f5aa5eed58

শিশুর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে মেনে চলুন বিশেষ কিছু কিছু টিপস

আজ ৭ এপ্রিল৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস৷ এই দিনটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সচেতনতা প্রচার ও প্রসারের জন্য বেছে নেওয়া হয়৷ তবে সব থেকে বেশি জরুরি শিশুদের স্বাস্থ্যের উপরে নজর দেওয়া৷ আর সে ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতার প্রসার সব থেকে বেশি জরুরি৷ একই সঙ্গে শিশুর খাদ্যাভ্যাসের বিষয়টিও বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া জরুরি৷

আজকাল শিশুদের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই ইটিং ডিজঅর্ডার দেখা দেয়। তা থেকে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, খাবারের প্রতি অবশেসড হয়ে যাওয়া, ভাজা প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ, এবং খাবার সংক্রান্ত বিষয়ে তার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ না হলে অদ্ভুত ধরনের ব্যবহার করা, খিটখিট করার প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়। এ সবের থেকে শিশু দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বা তার হতাশা উৎকণ্ঠা এবং অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার দেখা দিতে পারে।

ইটিং ডিজঅর্ডার কেন দেখা দেয় বা তার থেকে কী কী জটিলতা তৈরি হতে পারে সেগুলো এখনও সবটা খুব নির্দিষ্ট ভাবে বোঝা যায়নি। তবে এর ফলে মানসিক গঠনে একটা প্রভাব পড়ে সেটুকু নিশ্চিত। শিশুর খাবারের প্রতি অবশেসড হয়ে পড়ে। তার খাদ্যাভ্যাস সুষ্ঠু হয় না। কোষ্ঠবদ্ধতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা হতে পারে। কী ভাবে এই সমস্যার মোকাবেলা করবেন সেজন্য বাবা-মায়েদের জন্য রইল কিছু টিপস।

নিজের যত্নই মুখ্য বিষয়: আপনারা যে ধরনের জীবনযাত্রা নির্বাচন করবেন তা দেখেই শিশু শিখবে। তাই বাবা-মাকে সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সঠিক সময়ে খাওয়া-ঘুম মিলিয়ে যদি বাবা-মা একটা সঠিক রুটিন অনুসরণ করেন। তা হলে শিশুও তেমনটাই করবে।

দ্রুত চিহ্নিতকরণ: যদি বুঝতে পারেন শিশুর মধ্যে ইটিং ডিজঅর্ডার তৈরি হচ্ছে তা হলে দ্রুত আপনার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং তার কথা মতো চলুন।

দয়া ও সহমর্মিতা দেখান: যদি বুঝতে পারেন শিশু ইটিং ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত তাকে এ নিয়ে দোষারোপ করবেন না বা খোটা দেবেন না। এতে তার মনোবল আরও ভেঙে যাবে।

বিশ্বাসে মিলায় বস্তু: শিশু যেন আপনার উপর থেকে তার বিশ্বাস হারিয়ে না ফেলে সেটা নিশ্চিত করুন। শিশু যদি আপনার উপর বিশ্বাস রাখে তা হলে আপনিও তাকে ভবিষ্যতে আত্মপ্রত্যয়ী হতে শেখাতে পারবেন। এবং সে যে কোনও রকমের খারাপ খাদ্যাভ্যাস থেকে এই প্রত্যয়ের জোরেই বেরিয়ে আসতে পারবে।

পরিবারে আস্থা: আপনার শিশুর আত্মবিশ্বাসকে সব সময় আরো বেশি করে সমর্থন যোগান, যাতে সে যে কোনও রকম খারাপ পরিস্থিতি থেকে উত্তীর্ণ হতে পারে। এবং কোনও খারাপ পরিস্থিতি তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিতে না পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *