শারীরিক মিলনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল চুম্বন৷ তবে চুম্বন মানেই যে সেটা যৌন অনুভূতিসম্পন্ন হবে, তেমনটা একেবারেই নয়৷ নরনারীর যৌনতার বিষয়ে ভারতীয় কামশাস্ত্রে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে৷ এর মধ্যে চুম্বনও অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷
এই শাস্ত্রে ৭ রকম চুম্বনের প্রতি আলোকপাত করেছেন বাৎস্যায়ন-
- গভীর চুম্বনের ক্ষেত্রে কখনও উপরের ঠোঁট আবার কখনও নীচের ঠোঁট প্রাধান্য পায়৷ উপরের ঠোঁট যখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে, তখন সেটিকে বাৎস্যায়ন বলেছেন উত্তর চুম্বিতক৷
- প্রেমিক বা প্রেমিকাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে যে চুম্বন, সেই চুম্বনকে কামশাস্ত্র বলে চৈতক চুম্বন অর্থাৎ যে চুম্বনের মধ্যে দিয়ে মানুষ অবচেতন থেকে চেতনে ফেরে৷
- শুধুমাত্র শরীরে শরীরে স্পর্শেই যে চুম্বন হয়, তা তো নয়৷ কত সময় মানুষ আয়নায়, জলে অথবা দেওয়ালে প্রেমিক বা প্রেমিকার প্রতিচ্ছবিতে চুম্বন করে৷ এমন চুম্বন গভীর ভালবাসারই পরিচায়ক৷ এই চুম্বনকে কামশাস্ত্র বলে ছায়া চুম্বন৷
- কামশাস্ত্রে আর এক চুম্বনের কথা পাওয়া যায়, যাকে অনেকটা বিরহী বা বিরহিনীর চুম্বন বলা যায়— সংক্রান্তক চুম্বন, যা হল প্রিয় মানুষের ছবি অথবা মূর্তিতে চুম্বন৷
- নিমিত্তক চুম্বন হল সেই চুম্বন যার মাধ্যমে কোনও নারী তার পুরুষ সঙ্গীকে বোঝাতে চায় যে তাকে কাছে পেতে সে কতটা ইচ্ছুক৷
- অনেকটা নিমিত্তকের মতোই আরও এক ধরনের চুম্বনের প্রসঙ্গ রয়েছে কামশাস্ত্রে যা কি না মনোমালিন্য দূর করার অস্ত্র হিসেবে প্রয়োগ করে নারীরা৷ আবার পুরুষসঙ্গী যখন অন্য কোনও কাজে ব্যস্ত বা অন্যমনস্ক, তার মনোযোগ ফেরাতেও কাজে দেয় ‘চিত্তচাঞ্চল্যকর’ এই চুম্বন৷
- যাকে আমরা বলি গভীর চুম্বন, তেমনই এক চুম্বনের রকমফের বর্ণিত রয়েছে কামশাস্ত্রে৷ এই ধরনের চুম্বনে পুরুষ তার সঙ্গিনীর ঠোঁটটি সম্পূর্ণ গ্রাস করে, অত্যন্ত আবেগপ্রবণ মিলনে যা স্বাভাবিক৷ ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘এনভেলপিং কিস’ ঠিক যেন চিঠি খামবন্দি করার মতো ব্যাপার৷
