কম্পন থেকে বাঁচলেও ঠান্ডা-ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই, হাহাকার চারিদিকে

কম্পন থেকে বাঁচলেও ঠান্ডা-ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই, হাহাকার চারিদিকে

ইস্তানবুল: ১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ চলছে। এখনও লাশের পর লাশ উদ্ধার হয়েছে ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ হাজার, আহতের সংখ্যায় ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই। এদিকে যারা কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তাদের পড়তে হচ্ছে প্রবল ঠান্ডা, ক্ষুধার মুখে। বহু মানুষ না পাচ্ছেন ঠান্ডা থেকে বাঁচার কোনও জিনিস, না পাচ্ছেন পরিমাণ মতো খাবার। এ পরিস্থিতি যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। 

আরও পড়ুন- বেলুনকাণ্ডের পর কোন পথে আমেরিকা-চিন সম্পর্ক? এবার কি অস্ত্র তুলে নেবে বেজিং-ওয়াশিংটন?

স্থানীয় সূত্রে যেটুকু খবর মিলেছে তাতে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র সিরিয়াতেই ৫৩ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন এবং ৮ লক্ষের বেশি মানুষ খাদ্যাভাবে ভুগছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়স্ক ব্যক্তি এবং শিশু। তাদের কাছে ত্রাণ দ্রুত না পৌঁছলে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিগত কয়েকদিন মিলিয়ে তুরস্ক এবং সিরিয়ার একাধিক অঞ্চলে কমপক্ষে পাঁচবার ভূমিকম্প হয়ে গিয়েছে। প্রতিবারই রিখটার স্কেলে তার মাপ ৬-এর ওপর ছিল। আবার আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ৭ বা তার বেশি মাপের ভূকম্পন হতে পারে বলে এখনই আশঙ্কা করেছে বিজ্ঞানীদের একাংশ।