কলকাতা: একদিকে করোনা মহামারী, অন্যদিকে লাগামছাড়া বেকারত্ব৷ জোড়া বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা বাংলা৷ নানান কারণে নিয়োগ জটিলতা, দুর্নীতির দায়ে মামলা৷ কলকাতা হাইকোর্টে ঝুলছে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলা৷ সাত বছর হয়ে গেলেও এখনও হয়নি নিয়োগ৷ প্রাথমিকে টেটের আবেদন গ্রহণের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের চাপ বাড়িয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের দাবি তুলছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ ‘নো এসএলএসটি, নো ভোট’, এই দাবি তুলে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন এসএলএসটি এবং টেট আন্দোলন মঞ্চের তরফে জোরদার প্রচার চলছে৷ নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি না হলে ভোট বয়কটের দাবিও তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ নতুন করে নিয়োগের দাবি জোরদার করে ইতিমধ্যেই জেলা ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে৷ দাবি তোলা হয়েছে, আগস্টের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বার করতে হবে৷ আগস্টের মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পাশাপাশি ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা ও মেধাতালিকা তৈরি করার দাবিও তুলেছেন প্রার্থীরা৷ আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করারও উঠছে৷ প্রতি বছর এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের দাবি উঠতে শুরু করেছে৷
বাড়ি থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে চলছে জোরদার প্রচার৷ অনেকেই বলছেন, ‘‘আমাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হোক৷ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হোক৷ এসএলএসটি নিয়োগ প্রক্রিয়া কাজ শুরু ও শেষ করে বেকারত্ব ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক৷’’ একইসঙ্গে অবিলম্বে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার দাবি উঠছে চাকরিপ্রার্থী মহলে৷ চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০১৫ সালের পর থেকে রাজ্যের টেট পরীক্ষা আর নেওয়া হয়নি৷ ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে TET বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়৷ কিন্তু কত শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে তা এখনও জানানো হয়নি৷ কবে নিয়োগ পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাননি চাকরিপ্রার্থীরা৷ এই নিয়ে হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে৷ নিয়োগ পরীক্ষায় বসার জন্য টাকা খরচ করে আবেদন জানানোর ৩ বছর পরও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় নতুন করে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে৷
একদিকে উচ্চ প্রাথমিকে দুর্নীতির দায়ে নিয়োগের ইউপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট, অন্যদিকে প্রাথমিকের টেটের পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা না হওয়া নিয়েও চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ৷ এবার নতুন করে যোগ্যতা প্রমাণের দাবি জানিয়ে, শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে সরব হচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷