বেতন কমিশনের বিরুদ্ধে ফের বিদ্রোহ শিক্ষকদের, চড়ছে অসন্তোষ

বেতন কমিশনের বিরুদ্ধে ফের বিদ্রোহ শিক্ষকদের, চড়ছে অসন্তোষ

9605925dc71a50a8e4f8d0aeb2bd90a3

 কলকাতা: ঢাকঢোল পিটিয়ে চালু হয়েছে ষষ্ঠ বেতন কমিশন৷ কিছুটা বেড়েছে বেতন৷ কিন্তু, এখনও অধরা মহার্ঘ ভাতা৷ ২০১১ সালের পর ২০২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে নয়া বেতন কমিশন৷ বেতন কমিশন কার্যকর হলেও বেতন বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফুঁসছেন বাংলার কয়েক হাজার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক৷ আনলক পর্বে এবার সেই ক্ষোভ জানিয়ে বেতন কমিশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠাল গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের সংগঠন গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন৷

বৈষম্য ও বঞ্চনা যখন আকাশ ছুঁয়েছে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের, পায়ের নিচের মাটি শক্ত করতে ফের অধিকার বুঝে নিতে ফের সবর শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ৷ লকডাউন বিধিনিষেধ শিথিল হতেই আজ পে কমিশনের চেয়ারম্যানকে দ্রুত কম্প্রিহেনসিভ রিপোর্ট করার চিঠি দেওয়া হয়েছে শিক্ষক সংগঠনের তরফে৷

অভিযোগ, পে কমিশনের বিরুদ্ধে শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএর করা মামলায় গত ২ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পে কমিশনকে দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা-সহ একটি কম্প্রিহেনসিভ রিপোর্ট জমা দিতে৷ কিন্তু পে কমিশন সেই সংক্রান্ত কোনও পদক্ষেপ এখনও গ্রহণ করেনি বলে শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ৷ এই বিষয়ে বিজিটিএর তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল পে কমিশন অফিসে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়ে আসেন৷ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য ইন্দ্রজিৎ ঘোষ ও মৌসুমী মুদি ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য ভিক্টর মল্লিক৷

0a836d727d98430b0da651f077c4fc27

বিজিটিএ’র দায়ের করা মামলার রায়ে আদালত পে কমিশনকে পশ্চিমবঙ্গের গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের জন্য বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে বেতন কাঠামো স্থির করার নির্দেশ দেন৷ অভিযোগ, এবিষয়ে রাজ্য সরকারের ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী তা মেলেনি৷ পে কমিশন হাইকোর্টের রায়কে লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ তুলেছে শিক্ষক সংগঠন৷ শিক্ষক সংগঠনের দাবি, রাজ্যে নতুন বেতন কমিশনে প্রারম্ভিক বেতনে একজন পিজিটি শিক্ষকের সঙ্গে গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের পার্থক্য যেখানে ২ হাজার ৭০০ টাকা, সেখানে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে তা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২০০টাকা৷ আর এতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের বড় অংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *