ইস্তানবুল: মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে ২৪ হাজার, আহতের সংখ্যায় ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই। ১০০ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়ে উদ্ধারকাজ চলছে। তুরস্ক এবং সিরিয়ার কম্পন বিধ্বস্ত অঞ্চলের ধ্বংসস্তূপ থেকে পরপর লাশ উদ্ধার হচ্ছে। তবে কম হলেও জীবিত মানুষ উদ্ধারের সংখ্যাও বেশ বাড়ছে যা স্বস্তি। কিন্তু তারা কী ভাবে বেঁচে ছিলেন ধ্বংসস্তূপের তলায়? এ যেন এক অন্য লড়াই। যেমনটা লড়েছেন এই দুই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন- বেলুনকাণ্ডের পর কোন পথে আমেরিকা-চিন সম্পর্ক? এবার কি অস্ত্র তুলে নেবে বেজিং-ওয়াশিংটন?
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ১০৪ ঘণ্টা আটকে থেকেও বেঁচে ফিরেছেন এক মহিলা। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে। তুরস্কের কিরিখান শহরের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে জেয়নেপ কাহরামান নামের বছর ৪০-এর ওই মহিলাকে। ওই অঞ্চলে উদ্ধারকাজ চলার সময় মহিলার অস্তিত্ব লক্ষ্য করে উদ্ধারকারী দল। সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলাকে পাইপের মধ্যে দিয়ে পানীয় সরবরাহ করেন তাঁরা। এইভাবে নিজেকে উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হন জেয়নেপ। তাঁকে উদ্ধারের পর হাততালিতে ফেটে পড়েন সামনে উপস্থিত সকলেই।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”নিখোঁজদের বাঁচার আর আশা নেই! Death toll in Turkey-Syria continues to rise rapidly” width=”853″>
অন্যদিকে আরও এক যুবককে ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে বাঁচিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ১৭ বছর বয়সী ওই যুবক প্রায় ৯৬ ঘণ্টা মাটির নীচে চাপা পড়েছিল এবং নিজের মূত্র খেয়ে বেঁচে ছিল। এও জানা গিয়েছে, তার সঙ্গে ছিল কিছু ফুল। সেগুলোও খেয়েছে সে। সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের সময়ে ওই যুবক নিজের বাড়িতেই ছিল এবং ঘুমোচ্ছিল। তাই পালিয়ে বাঁচার কোনও রকম চেষ্টাই করতে পারেনি সে।