হবে না কোনও কর্মী ছাঁটাই, স্বস্তির ঘোষণা উইপ্রো চেয়ারম্যানের

কোভিড ১৯ ভাইরাসের জেরে গোটা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়েছে, তাতে একাধিক বেসরকারি সংস্থা কর্মী ছাঁটাই বা বেতন কাটার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে টাটা টেলিকনসালটেন্সি সার্ভিস (টিসিএস) সাফ জানিয়েছিল, কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা নেই তাদের। এবার উইপ্রো-র চেয়ারম্যান রিশদ প্রেমজি জানালেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নেই সংস্থার। সোমবার অ্যানুয়াল জেনারেল মিটিংয়ে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।

 

নয়াদিল্লি: কোভিড ১৯ ভাইরাসের জেরে গোটা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়েছে, তাতে একাধিক বেসরকারি সংস্থা কর্মী ছাঁটাই বা বেতন কাটার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে টাটা টেলিকনসালটেন্সি সার্ভিস (টিসিএস) সাফ জানিয়েছিল, কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা নেই তাদের। এবার উইপ্রো-র চেয়ারম্যান রিশদ প্রেমজি জানালেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নেই সংস্থার। সোমবার অ্যানুয়াল জেনারেল মিটিংয়ে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।

করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে সিংহভাগ সংস্থা। যদিও সরকারের তরফে লকডাউন শুরুর দিকে বেতন না কাটার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে বহু সংস্থার বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে বেতন কাটার মতো ঘটনার জেরে। এমনকী, কর্মী ছাঁটাইয়ের অভিযোগও শোনা গেছে। জল পরিশোধন যন্ত্র উৎপাদনকারী সংস্থা কেন্ট আরও-এর বিরুদ্ধেও কলকাতা শাখায় কর্মী ছাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠেছিল। তবে ৭৪তম অ্যানুয়াল জেনারেল মিটিংয়ে উইপ্রো-র তরফে জানানো হয়েছে, কর্মী ছাঁটাই করা হবে না ওই সংস্থায়।

সোমবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংস্থার চেয়ারম্যান রিশদ প্রেমজি জানান, ‘এই মুহূর্তে কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই।’ বর্তমানে প্রায় ৯৫ শতাংশ উইপ্রো কর্মী বাড়ি থেকেই কাজ করছেন। তবে বাড়ি থেকে কাজ করা এবং অফিসে গিয়ে কাজ করার প্রক্রিয়া দু’টিতে ভারসাম্য আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সংস্থাটি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং অফিস থেকে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ মডেলের কথা ভেবেছি। তা কার্যকরী হতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে।’

সূত্রের খবর, ২০২০ অর্থবছরে বেঙ্গালুরুর এই সংস্থাটির অর্ধেকের বেশি ব্যবসা এসেছে মার্কিন মুলুক থেকে। তথ্য বলছে, সংশ্লিষ্ট অর্থবর্ষে সংস্থার মোট মুনাফার ৫৯.১ শতাংশ এসেছে আমেরিকা থেকে। ভারতের বাইরেই এর কর্মী সংখ্যা রয়েছে ৪০ হাজারেরও বেশি। করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে অন্যান্য বেসরকারি সংস্থা বা বহুজাতিক  সংস্থাগুলি কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানে উইপ্রো-র এই সিদ্ধান্ত কর্মীদের অনেকটাই স্বস্তিতে রেখেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − four =