নয়াদিল্লি: মূল ওয়েবসাইটের সঙ্গে হুবহু মিল৷ সাদৃশ্য প্রায় ৯৯ শতাংশ৷ খুব খতিয়ে না দখলেই অপেক্ষা করতে পারে ফাঁদ৷ মূল ওয়েবসাইটের সঙ্গে হুবহু মিল থাকায় বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুব কম৷ কিন্তু, ভুল করেও যদিও হ্যাকারদের প্রতারণার ফাঁদে পা রেখেন, তাহলে ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ৷ ভুয়ো ওয়েবসাইটে ক্লিক করে সর্বস্ব খোয়াতে হচ্ছে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ গ্রাহকদের৷
ইপিএফ প্রতারণায় নয়া কৌশল দেখে স্তম্ভিত কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক৷ থেকে যাচ্ছে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা৷ কেননা, বর্তমানের করোনা পরিস্থিতিতে ইপিএফও’র অধিকাংশ কাজ চলছে অনলাইনে৷ টাকা লেনদেন থেকে সঞ্চয়, প্রাশসনিক কাজ, সবটাই৷ কিন্তু, হুবহু ইপিএফও’র ওয়েসাইট নকল করে প্রতারণা, ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের৷ ইপিএফও’র মূল ওয়েবসাইটের সঙ্গে নকল সাইট ঘিরে প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে অনেক বেশি৷ এই পরিস্থিতিতে ব্যবহারের আগে ইপিএফ গ্রাহকদের অন্তত দু’বার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে শ্রমমন্ত্রক৷
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ওয়েবসাইটের ঢোকার আগে ইপিএফ গ্রাহকরা অন্তত দু’বার তা দেখে নেন৷ যাতে কোনওভাবেই আসলের সঙ্গে ভুয়ো ওয়েবসাইট গুলিয়ে না ফেলেন গ্রাহকরা৷ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া একই বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ এমনিতে ইপিএফও’র নাম করে গ্রাহকদের থেকে আধার নম্বর থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ইউএএনের মতো ব্যক্তিগত তথ্য লোপাট করে জালিয়াতি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ ফলে, গ্রাহকরা যাতে তাঁদের কোনও ব্যক্তিগত তথ্য কোনওমতেই অন্যকে না জানান, তারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ কেননা, ভুয়ো ওয়েবসাইটে ঢুকলে কিংবা তথ্য অন্যকে জানিয়ে দিলে সর্বস্ব লুট হয়ে যেতে পারে৷ আর সেই কারণে প্রতারকদের দেখে সামধানে থাকতে বার্তা দিয়েছে শ্রমমন্ত্রক৷