কাজের চাপে কমতে পারে যৌন ইচ্ছা৷ প্রজনন ক্ষমতাও কমতে পারে অনেকটাই৷ ধূমপান, মাদক সেবন ও নিয়মিত মদপান মানসিক চাপ ও বন্ধ্যাত্ব বাড়াতে পারে৷ ঠিক এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা৷
কাজ এবং জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারলে মানুষের জীবনের অন্য চাপ আরও বাড়বে। রাতে দেরিতে ঘুমাতে যাওয়া থেকে শুরু করে সকালে হুড়োহুড়ি করে অফিসের জন্য তৈরি হওয়া, অফিসে গিয়ে কাজের চাপ, সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে উঠতে পারে৷ স্থূলতার ও প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে সমীক্ষায়৷
দীর্ঘস্থায়ী কাজের চাপের মাত্রা ওজন বৃদ্ধি করে৷ যথাযথ ডিম্বানু উৎপাদন ব্যাহত করে৷ অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যাও সৃষ্টি করে। জাঙ্ক ফুড শুক্রাণুর মান হ্রাস ঘটনায় বলে জানতে পেরেছেন গবেষকরা৷ মানসিক চাপ আপনার যৌন জীবনের উপরেও গভীর প্রভাব ফেলে৷
কীভাবে চাপ কমিয়ে বাড়তে পারেন প্রজনন ক্ষমতা?
প্রতি দিন কমপক্ষে ৬ ঘন্টার ঘুম প্রয়োজন৷ ঘুমনোর আগে বা যখন আপনি পরিবারের বা প্রিয়জনের সঙ্গে রয়েছেন, তখন মেল চেক করা বা অফিসের ফোন ধরা এড়িয়ে চলুন৷ আপনার সঙ্গীর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। একটি সম্পর্কে নিয়মিত যৌনতা দুর্দান্ত কাজ করে৷ ধূমপান ও মদ্য পানের মত অভ্যাসকে বিদায় জানান। এই অভ্যাস আপনার জন্য বিপজ্জনক সমস্যা তৈরি করতে পারে। কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন আলাদা করা ও ভারসাম্য রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রজননের সমস্যা এড়াতে জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। স্ট্রেস কমান এবং আপনি যে যে জিনিস সত্যিই উপভোগ করেন সেসবে সময় দিন। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান৷ আপনার পছন্দের খাবার রান্না করুন৷ সিনেমা দেখুনন বা এমন কিছু করুন যা আপনাকে ভালো রাখে।