ইস্তানবুল: ২৪ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে মৃতের সংখ্যা, আহতের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। তুরস্ক এবং সিরিয়া কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে লাগাতার ভূমিকম্পে। ধ্বংসস্তূপ থেকে পরপর উদ্ধার করা হচ্ছে একের পর এক লাশ। সাধারণ মানুষের তো হাহাকারের শেষ নেই, এদিক এই কম্পন দুই দেশের ভিত যেন নড়িয়ে দিয়েছে। এই এই কথার আক্ষরিক প্রমাণ দিচ্ছে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে পাওয়া ছবি। দেখা গিয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে তুরস্কের একটি শহর প্রায় দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- বেলুনকাণ্ডের পর কোন পথে আমেরিকা-চিন সম্পর্ক? এবার কি অস্ত্র তুলে নেবে বেজিং-ওয়াশিংটন?
আন্তর্জাতিক এক সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, তুরস্কের একটি শহরে রাস্তা, মাঠ, পাহাড় এবং জঙ্গল বরাবর বিশাল ফাটল দেখা গিয়েছে ড্রোন ক্যামেরায়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল গাজিয়ানটেপের পার্শ্ববর্তী প্রদেশ কাহরামানমারাসের ছোট শহর তেভেকেলিতে ভূমিকম্পের জেরে এই বিরাট ফাটল ধরেছে। ছবি দেখে মনে হবে, এই শহরকে কেউ অর্ধেক করবে বলে মাঝখান থেকে কেটে দিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় ফাটল, গর্ত হয়ে গিয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। এক কথায়, কার্যত তছনছ হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে আছে তুরস্কের এই শহর।
এই অবস্থায় আবার বড় ধরনের আতঙ্কের খবর সামনে এসেছে। অনুমান করা হচ্ছে, আরও শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে তুরস্কে এবং তা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই। রাশিয়ার এক সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিয়ে এক ভূ বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই প্রবল ভূমিকম্প হবে পশ্চিম তুরস্কে এবং রিখটার স্কেলে তার পরিমাপ হতে পারে ৭ বা তার বেশি! যে জায়গায় কম্পন হওয়ার কথা তিনি বলেছেন সেখানে নাকি ২৫০ বছর অন্তত ভূমিকম্পের সম্ভাবনা দেখা দেয়। আর শেষবার এই এলাকায় ভূমিকম্প হয় ২৮৭ বছর আগে। তাই বিজ্ঞানীর আশঙ্কা, পরবর্তী ভূকম্পন হওয়ার সময় চলে এসেছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টার লড়াই, মৃত্যুভয় জয় দিদি-ভাইয়ের! Siblings rescued after 17 hours under rubble” width=”560″>