BREAKING: চাকরি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

BREAKING: চাকরি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

 

নয়াদিল্লি: ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷ শেষ বাজেট ভাষণে কেন্দ্রীয় সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধি বদল করা হবে বলেও আগেই জানিয়েছিলেন তিনি৷ এবার সেই মর্মে কেন্দ্রের তরফে জাতীয় নিয়োগ সংস্থা গঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ সরকারি চাকরিরতে নিয়োগ পরীক্ষায় বড়সড় পরিবর্তনে ছাড়পত্র মিলেছে৷ আর তার জেরেই উঠে যাচ্ছে পৃথক ২০টি পরীক্ষা ব্যবস্থা৷

কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে এখন থেকে মাত্র একটি পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ এখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে একটি পরীক্ষা মাধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে৷ সফল হলে ৩ বছর মেয়াদ থাকবে৷ কেন্দ্রীয় নিয়োগ সংস্থার মাধ্যমে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে৷ আর তার জেরে রেল ও ব্যাঙ্কের মতো নিয়োগ পরীক্ষা-সহ  একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বিধি বদল করা হয়েছে৷ মাত্র ১টি পরীক্ষা দিলেই মিলবে নিয়োগ৷ প্রথম ধাপে হবে স্টাফ সিলেকশনের পরীক্ষা৷ মিশে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারি ২০ পৃথক চাকরির পরীক্ষা৷

প্রতি বছর প্রায় ২.৫ কোটি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে থাকেন৷ এই পরীক্ষাগুলি পরিচালনা করে থাকে বিভিন্ন রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি৷ ফি বছর প্রায় ১.২৫ লক্ষ সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়৷ কিন্তু এবার থেকে শুধুমাত্র অনলাইনে কমন এলিজিবিটিলি টেস্ট (সিইটি)-এ অবতীর্ণ হবেন প্রার্থীরা৷ এর জন্য ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি গঠন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ সিইটি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর তিন বছরের জন্য বৈধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে৷ সিইটি প্রস্তাবের মধ্যে দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার বিপুল ব্যয়ভার, প্রার্থীদের নানা সমস্যা ও সময় বাঁচাতে চাইছে কেন্দ্র৷

বর্তমানে একই পদের জন্য, একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় প্রার্থীদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এজেন্সি দ্বারা পরিচালিত একাধিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়৷ এর ফলে একদিকে যেমন টাকা খরচ হয়, তেমনই সময়ও নষ্ট হয়৷ সিইটি প্রস্তাবে এই বোঝা কমানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ সিইটি বা কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট চালু হলে সরকার, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি এবং প্রার্থীদের খরচ ও সময় দুটোই বাঁচবে৷ রাজ্য সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য ব্যয় ভাগের ভিত্তিতে সিইটি মেরিট লিস্ট রাজ্যগুলির হাতে তুলে দিতে পারে এনআরএ৷ পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন থেকে তিন বছর পর্যন্ত প্রাপ্ত নম্বরের বৈধতা থাকবে৷ এই নম্বর প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে৷ প্রত্যেক প্রার্থীর কাছে নম্বর বাড়ানোর দুটি সুযোগ থাকবে এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে সেরা স্কোরটিকেই বেছে নেওয়া হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + 7 =