শরীরে ওজন বাড়ার সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা যানেন যে এক বার ওজন বেড়ে গেলে, তা কমানো মোটেই সহজ নয়। বহু সুস্বাদু খাবারকে বিদায় জানিয়ে তখন কঠিন ডায়েট আর নিয়মিত শরীরচর্চা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা ব্যবহার করে ওজন কমানো যায়। এর মধ্যে অন্যতম হল রসুন।
প্রত্যেক গৃহস্থ বাড়িতেই এর পাকাপাকি জায়গা থাকে। তাই বেশি খাটতে হয় না রসুনের খোঁজে। রান্নায় স্বাদ যোগ করতে এই রসুনের জুড়ি মেলা সত্যিই ভার। এছাড়াও এর অনেক গুণাগুণ রয়েছে।রসুনকে ৪৫ মিনিট ধরে ওভেনে রান্না করলে তার গুণগুলি কমে যায়। তাই রসুন কাঁচা হলে তার উপকারিতাও বেশি থাকে। কিন্তু এই উপকারিতাগুলি
পেতে গেলে রসুন ঠিক করে খাওয়া প্রয়োজন।তাহলে জানা যাক রসুন কীভাবে খাওয়া উচিত-
ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হল লেবুর রসের সঙ্গে রসুন খাওয়া। লেবুর রসের সঙ্গে এক কোয়া রসুন মিশিয়ে খেলেই ভালো ফল পাবেন।
সমস্ত গুণাগুণ পেতে গেলে সকালে একদম খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়া উচিত। দুই থেকে তিনটে রসুনের কোয়া কুচি করে ১০ মিনিট রেখে দিন খোলা হাওয়ায়। তার পর জল দিয়ে খেয়ে ফেলুন।
প্রত্যেকের শরীরের গঠন ও প্রকৃতি এক রকমের হয় না। তাই রসুন থেকে কোনও প্রকার অসুখ বা অ্যালার্জির সম্ভাবনা থাকলে সাবধান হোন। দ্বিতীয়ত, ওজন কমাতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত রসুন খেয়ে ফেলবেন না যেন, কোনও কিছুরই বাড়াবাড়ি ভালো নয়।
রসুনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলেও ভালো ফল পাবেন। একটু মধুর মধ্যে তিন থেকে চার কোয়া রসুন কুচি মেশান। এর পরে ভালো করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তার পরে খান।এছাড়া রসুন খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে বা খিদে পাওয়া থেকেও বিরত থাকা যায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কমে। রসুন হজম শক্তিকে ঠিক রাখতেও সাহায্য করে।রসুন ওজন কমালেও শক্তি প্রদান করে।
এছাড়াও রসুনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, ফাইবার ও ক্যালশিয়াম থাকে। এছাড়া কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন, সোডিয়ামও থাকে রসুনে। তবে মশলাদার খাবারে রসুন খেয়ে ওজন কমানো যায় না।রসুন কীভাবে খাবেন, তার উপরেই নির্ভর করে ওজন কমবে কি না।