ডিজিটাল যুগেও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ থেকে এখন পিছিয়ে ভারত, বলছে সমীক্ষা

ডিজিটাল যুগেও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ থেকে এখন পিছিয়ে ভারত, বলছে সমীক্ষা

নয়াদিল্লি:  করোনার দাপট গোটা পৃথিবীতে অব্যাহত। পৃথিবী জুড়ে জীবিকা ক্ষেত্রে শুধু ' ওয়ার্ক ফ্রম হোম ' বা বাড়ি থেকে কাজ কিংবা চাকরি জীবনযাত্রায় ঢুকে পড়েছে নয়,  রীতিমতো বাড়তে থাকা প্রবণতা। স্বাস্থ্য মন্ত্র্কের শেষ ঘোষণায়,৭,৮৫,৯৯৬ টি সক্রিয় করোনা রুগি ভারতে এবং সোমবারও নতুন করে সনাক্ত হয়েছে ৬৯,৯২১ টি নতুন আক্রান্ত রুগি। করোনা  মিটার যখন এ ছবি দেখাচ্ছে, ভারতে ' ওয়ার্ক ফ্রম হোম ' ব্যাপকভাবে চালু করাটাই ছিল প্রয়োজন,  যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসাবে ভারতের স্থান পৃথিবীতে দ্বিতীয়।

প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের একটি তথ্যে চোখ রাখা যাক। তথ্য বলছে, যে দেশের নেট ব্যবহার যত বেশি,  সে দেশের অর্থনীতির গ্রাফ তত ঊর্ধ্বে। এবং স্বভাবতই, ' ওয়ার্ক ফ্রম হোম ' এর সুবিধাও সেখানে তত বেশি। মাঝারি  বা কম রোজগেরে দেশের পরিকাঠামো ' ওয়ার্ক ফ্রম হোম ' এর জন্য প্রস্তুত নয়। ভারত শেষোক্ত এই বিভাগে পড়ে। ভারতে এই সুবিধার গ্রাফ যেখানে ১৯% বা তার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে,  ব্রেজিলের মতো দেশে তা ৬০%। 

ডব্লিউ এফ এইচ বা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ শিক্ষার হারের সঙ্গে বাড়তে থাকে। ভারতে তা নিতান্তই কম। চাকরি শুরুই হবে বাড়িতে বসে,  এ সুযোগ এ দেশে এখনও অধরাই। কম বা মাঝারি রোজগেরে দেশে ১৫ % ক্ষেত্রে ঘরে বসে চাকরি সামলানোই দায়। কিন্তু তাদের সমস্যা,  তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই। ধনী দেশে সে সুযোগ প্রায় ৩৭%।

ইন্টারনেট ব্যবহারে ভারতের স্থান চায়নার পরেই অর্থাৎ দ্বিতীয়। কিন্তু ২০১৮ সাল পর্যন্ত তথ্য ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে,  বৃহত্তর একটি জনসংখ্যাই নেট ব্যবহারে অপারগ। রাজ্যস্তরে দেখলেও এক একটি রাজ্যে নেট ব্যবহারকারীর শতাংশ এক একরকম।  দিল্লি বা কেরালা ভারতের মধ্যে উচ্চতম স্হানে।  তাদের ব্যবহার যথাক্রমে ৬৯% ও ৫৪%।  পঞ্জাব, কাশ্মীর, হিমাচল,  হরিয়ানা বা তামিলনাড়ু ৪৯ – ৪৭%।  পশ্চিম বাংলা অনেকটাই নিচে।  মাত্র ২৯ % মানুষ এখানে নেট ব্যবহারকারী। এ চিত্রই বলে দিচ্ছে কেন ভারতে তথা পশ্চিম বাংলায় ' ওয়ার্ক ফ্রম হোমে'র অবস্থা এত করুণ।                    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 15 =