নয়াদিল্লি: কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে ডেটিং হোক কিংবা মহিলাকর্মীদের সামনে যৌন রসিকতা বা ঠাট্টার বিষয়টিকে কীভাবে দেখে গোটা বিশ্ব? সমীক্ষা বলছে, ৫২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ শতাংশ মহিলারা সহকর্মীর সঙ্গে ডেটিং কিংবা সম্পর্কের দিকে এগনোর পক্ষে। তবে কিছু অংশ মনে করেন, এর ফলে কেরিয়ারে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে মহিলা সহকর্মীর সামনে যৌন রসিকতা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন শতকরা ২৮ জন পুরুষ। তবে মহিলাদের সংখ্যা এই ক্ষেত্রে কম। প্রতি ১০০ জন মহিলার মধ্যে মাত্র ১৬ জন।
সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিল বিশ্বের ২৭টি দেশের প্রায় ২০ হাজার নারী ও পুরুষ। লন্ডনের কিংস কলেজের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ওমেনস লিডারশিপ-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই সমীক্ষায় সাহায্য করেছিল একটি বাজার-কেন্দ্রিক গবেষণা সংস্থাও। তাঁদের সমীক্ষা অনুসারে, পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে ডেটিংয়ে যাওয়ার পক্ষে রয়েছেন ৪১ শতাংশ মহিলা।
অন্যদিকে ৫২ শতাংশ পুরুষও পছন্দ করেন মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে ডেটিংয়ে যেতে। তবে কর্মক্ষেত্রে যৌন রসিকতা পছন্দ করেন চারজন পিছু একজন পুরুষ। মহিলারা এক্ষেত্রে ১০০ জনে ১৬ জন। তবে বিশ্বের নিরিখে গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, সুইডেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্পেনের মানুষ কর্মক্ষেত্রে যৌনবিষয়ক আলোচনাকে খাটো চোখেই দেখেন। তবে জাপান, পোল্যান্ড, ফ্রান্সের মানুষ কিছুটা হলেও মেনে নেন এই বিষয়টিকে। এক্ষেত্রে কি নারী ও পুরুষের গ্রহণ করার বিষয়টি কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল? গবেষকদের তরফে বলা হয়েছে, 'যাঁরা কর্মক্ষেত্রে বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেন, তাঁদের সংখ্যা কম হলেও, তাঁরা প্রভাবশালী এবং তাঁদের মতামত যেকোনও মানুষের চাকরিজীবন অতিষ্ট করে তুলতে পারে।'
এছাড়াও তাঁরা জানিয়েছেন, 'আমাদের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, মেয়েদের চাকরিজীবন ছেলেদের তুলনায় অনেকাংশে ঝুঁকিপূর্ণ, যদি তাঁরা প্রেমের প্রস্তাব নাকচ করে দেন অথবা যদি তাঁরা পরিবারের সম্পর্কে কথা বলেন বা সহকর্মীদের সঙ্গে সামাজিক মেলামেশায় অংশগ্রহণ না করেন।' এই পরিসংখ্যানের প্রসঙ্গে নারী ও পুরুষের সমানাধিকারের বিষয়টিও উঠে এসেছে। ইপসোস মোরি নামক গবেষণা সংস্থার তরফে কেলি বিভার জানিয়েছেন, 'আমরা বলি, নারী ও পুরুষ সমান সমান। এই সমতা কখনওই কার্যকরী হবে না যদি না পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই কর্মক্ষেত্রে পরিবর্তন নিয়ে আসেন। এখনও পুরুষের নিয়ন্ত্রণ চলে এই ক্ষেত্রে।'