করোনা বিরুদ্ধে লড়াই হোক প্রাকৃতিক এই পণ্য ব্যবহার করে!

করোনা বিরুদ্ধে লড়াই হোক প্রাকৃতিক এই পণ্য ব্যবহার করে!

 

নয়াদিল্লি: করোনায় উদ্বিগ্ন গোটা দেশ৷ প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেরাচ্ছে আতঙ্ক৷ নেই কোনও ভ্যাকসিন৷ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আমাদের হাতে এখন একটাই অস্ত্র, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা৷ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে করোনা সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব৷ নিরাপদে থাকতে হলে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি৷ ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে দূরে রাখতে আমরা আপনাদের দিচ্ছি প্রাকৃতির গুণে ভরা বেশ কিছু জিনিসের সলুক সন্ধান৷

জল বিহীন শ্যাম্পু এবং বডি বাথ- চারপাশে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ফ্লু-র আতঙ্ক৷ এই মরশুমে সফর করতে হলে, বিষয়টি সত্যিই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়৷ তবে এই সমস্যা মোকাবিলার এক অসমান্য সমাধান সূত্র হতে পারে ‘ওয়াটারলেস বডি বাথ অ্যান্ড শ্যাম্পু’৷ প্যারাবেন মুক্ত এই প্রোডাক্টটি তৈরি করেছে ক্লিটস্টা৷ জল ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে এই শ্যাম্পু ও বডি বাথ৷ ‘‘বৈজ্ঞানিক ফর্মুলায় ক্লোরহেক্সিডিন সহযোগে তৈরি করা হয়েছে ক্লিনস্টা পার্সোনাল হাইজিন প্রোডাক্টস৷ যা ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ৯৯.৯৯ শতাংশ জীবানু মারতে সক্ষম৷ এতে রয়েছে সোডিয়াম বেনজোয়াট, সাইট্রিক অ্যাসিড এবং ডিহাইড্রোবায়োটিক অ্যাসিড, যা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল হিসাবে পরিচিত৷

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান- করোনা সংক্রমণ রুখতে বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ফ্লু-র মরশুম হোক বা না হোক, খাবার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া খুবই জরুরি৷ বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে হাত পরিষ্কার করাও অতি আবশ্যক৷

সর্দি-কাশি বা হাঁচি থেকে অধিকাংশ সংক্রমণ ছড়ায়৷ তাই বাইরে বেরিয়ে পাবলিক টয়লেটের সাবান ব্যবহারের চেয়ে নিজের ব্যাক্তিগত সাবান ব্যাবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ৷ তবে জীবানু প্রতিরোধে আপনার সাবানকে অবশ্যই হতে হবে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল৷ নিম আর লেবু দিয়ে তৈরি লাক্সারি হ্যান্ডমেড সোপ এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতেই পারে৷

টিস্যু পেপার- সংক্রমণ রুখতে ব্যাবহার করুন টিস্যু পেপার৷ আপনার আশেপাশের মানুষ যদি সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন, তাহলে হাতের কাছে রাখুন ইকো-ফ্রেন্ডলি টিস্যু পেপার৷ হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু দিয়ে মুখ ঢেকে নিন৷ ব্যবহারের পর অবিলম্বে সেই সেটি ফেলে দিন৷ নিরাপদে থাকতে ব্যবহার করুন বাঁশ দিয়ে তৈরি টিস্যু পেপার৷ যা আপনাকে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে৷ প্রকৃতি থেকে পাওয়া এই উপাদান দিয়ে টিস্যু পেপার তৈরি করতেও খরচও পড়ে অনেক কম৷

স্যানিটাইজার- সংক্রমণের মোকাবিলায় স্যানিটাইজার এক দারুণ দাওয়াই৷ সুপার মার্কেটগুলি থেকে নিমেশে উধাও হয়ে যাচ্ছে অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার৷  চাহিদা সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে৷ তবে চিন্তা নেই৷ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হ্যান্ড স্যানেটাইজার আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে৷ মনে রাখবেন প্রয়োজনেই এই স্যানেটাইজার ব্যাবহার করবেন৷ অতিরিক্ত স্যানেটাইজার ব্যবহার করা কখোনই উচিত নয়৷ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে হাত ধোয়াকেই অগ্রাধিকার দিন৷ কিন্তু হাতের সামনে জল না থাকলে বিকল্প হতে পারে স্যানেটাইজার৷ ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধে এটি অপ্রতিরোধ্য৷

মাস্ক- ভিড়ভাট্টার মধ্যে যাওয়ার আগে মাস্ক পরুন৷ মাস্ক দিয়ে নাক ও মুখ যেন অবশ্যই ঢাকা থাকে৷ মাস্ক খোলা পড়ার সময় শুধুমাত্র ফিতেগুলো স্পর্শ করবেন৷ মাস্কের ভিতরে যেন হাত না লাগে৷
আতঙ্ক আর ভয়ের পরিবেশে সকলের সুরক্ষার কথা ভাবতে হবে আমাদেরকেই৷ প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত মাস্ক, সাবান বা স্যানেটাইজার কিনবেন না৷ সকলকে কেনার সুযোগ দিন৷ সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 14 =