কলকাতা: করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এখন বদলে গিয়েছে সব কিছু। সতর্কতা আগেও থাকত মানুষ। খাওয়ার আগে হাত ধোয়া থেকে শুরু করে ধুয়ে শাক সবজি দিয়ে ফ্রিজে তোলার মতো অনেক কিছুই করত। কিন্তু এখন সেই সর্তকতা বৃদ্ধি পেয়েছে আরও। সৌজন্যে করোনা ভাইরাস। সতর্ক থাকতে বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু শাকসবজি তো আর বারবার স্যানিটাইজ করা সম্ভব না। সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করা হবে? আগে শাকসবজিতে ফ্রিজে তোলা স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। এখনো কি শুধু ধুলেই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে? নাকি এর জন্য আরো সর্তকতা প্রয়োজন?
করোনা থেকে বাঁচতে এখন অনেকে অনেক রকমের পথ অবলম্বন করছে মানুষ। শাকসবজি কেনার পর তা একটি ফাঁকা জায়গায় রেখে দিচ্ছেন ঘন্টাখানেক। কেউ আবার একদিন পর তা ব্যাবহার করছেন। কেউ আবার সেই শাকসবজি গরম জলে ধুয়ে তারপর ব্যবহার করছেন বা ফ্রিজে তুলছেন। কিন্তু তাতে কি জীবাণুমুক্ত হওয়া সম্ভব? সেই বিষয়ে সম্প্রতি একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধীনস্থ ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা FASSI.
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সবসময় ভেজা স্থানে বেশিক্ষণ জীবিত থাকে। তাই বাজার থেকে শাকসবজি বা অন্যান্য জিনিসপত্র কিনে আনার পর অবশ্যই তা ধুয়ে নেওয়া উচিত। এছাড়া বাজারে অনেক জনের হাত লাগে শাকসবজিতে। তাই সতর্কতার কোন বিকল্প নেই। এর জন্য প্রতিটি ফল এবং শাকসবজি আলাদা আলাদা করে ভালোভাবে জল দিয়ে ধোয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে জানিয়েছে FASSI. তবে যে জলে ফল বা শাকসবজি ধোওয়া হবে তা যেন অবশ্যই পরিষ্কার হয়। খুব ভালো হয় যদি পানীয় জল ব্যবহার করা যায়। কারণ এই জল তো খাওয়া হয়, তাই এই জলে যতটা সম্ভব জীবাণু কম থাকে তেমনি চেষ্টা করে মানুষ। তাই পানীয় জল দিয়ে শাকসবজি ও ফলমূল ধুলে জীবাণু থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
তবে অবশ্যই জীবাণুনাশক বা সাবান দিয়ে শাকসবজি ধোবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়তে পারে। সবজি বা ফল ধোয়ার পর একটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিন।আরো একটা জিনিস অবশ্যই মনে রাখবেন। বাজারের জামাকাপড় সাবান জলে ধুয়ে ফেলুন বা সানিটাইজ করে নিন। বাজার থেকে ফিরে হাত না ধুয়ে কোন কিছুতে হাত দেবেন না। বাজারের ব্যাগটা ধুয়ে ফেলতে বা সনিটাইজ করতে ভুলবেন না।