নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের কোনও সরকারি দফতরে নতুন করে কোনও পদ সৃষ্টি কিংবা কর্মী নিয়োগ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল অর্থমন্ত্রক। মূলত খরচ বাঁচেতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তি দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। শনিবার, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে অর্থমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এবার থেকে কেন্দ্র সরকারের অধীনে যে কোনও দফতর, সংস্থা, পর্ষদ কিংবা স্ব-শাসিত বিভাগ অর্থমন্ত্রকের অনুমোদন ছাড়া পদ সৃষ্টি করতে কিংবা কর্মী নিয়োগ করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে চলতি বছর জুলাই মাস থেকে যে যে পদে নিয়োগ শুরু হয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত কার্যকরী না হলে প্রক্রিয়া বাতিলের কথা বলেছে মন্ত্রক।
এই ঘোষণায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হওয়ায়, এর সঙ্গে বকেয়া শূন্যপদে নিয়োগের কোনও সম্পর্ক যে নেই, সে কথাও উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্টাফ সিলেকশন কমিশন বা এসএসসি, ইউপিএসসি, কিংবা রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড দ্বারা যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে, তা বন্ধ করা হবে না। অর্থমন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, একান্তই কোনও নতুন পদের প্রয়োজন হলে সেটির প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিত জানিয়ে অর্থমন্ত্রক'কে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। সেক্ষেত্রে রিপোর্ট খতিয়ে দেখে অর্থমন্ত্রক অনুমোদন দিলে তবেই কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে।
বর্তমানে করোনা ও লকডাউনের জেরে কেন্দ্রীয় অর্থভাণ্ডারে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক লোকসান হয়েছে। তাই ব্যয় সংকোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থমন্ত্রক। কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রক তরফে জিএসটি ঘাটতির দায় কেন্দ্র নেবে না ঘোষণা করায়, বিরোধীরা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন'কে একহাত নিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। পাশাপাশি খরচ কমাতে ইতিমধ্যেই বিদেশ থেকে আমদানি করা কাগজের বই, ক্যালেন্ডার ছাপায় রাশ টানা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি দফতরের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন ও বার্ষিক অনুষ্ঠানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অর্থমন্ত্রকের তরফে। বিভিন্ন সরকারি দফতরে পরামর্শদাতা নিয়োগের সংখ্যাও কমানোর কথা বলেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।