কলকাতা: ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশি খুব সাধারণ ঘটনা। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে সবজেই ভাইরাস আক্রমণ করে। আর এখন তো গোদের উপর বিষফোড়ার মতো রয়েছে করোনা। এই সময় দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা অত্যন্ত দরকার। আর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে হার্বাল টি বা ভেষজ চা। রইল পাঁচ রকম ভেষজ চা তৈরির প্রক্রিয়া।
১. তুলসী চা: প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই তুলসী গাছ থাকে। তুলসী পাতা মাথাব্যথা, সর্দি এবং কাশির মতো অনেক রোগের জন্য শক্তিশালী ঘরোয়া টোটকা। তুলসীর দিয়ে তৈরি ভেষজ চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক কাপ জল ফুটিয়ে তাতে তুলসীর চার থেকে পাঁচটি পাতা দিন। জলটি এভাবে কয়েক মিনিট ফোটান। এবার এল্প চা পাতা দিয়ে দিন। চাইলে আপনি এতে মধু দিতে পারেন।
২. আদা চা: আদা এমন একটি জিনিস যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাশি হলে আদা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আদা চা সর্দি-কাশির দুর্দান্ত প্রতিকার। বর্ষার সময় প্রতিদিন আদা চা খেলে ঠান্ডা সহজে লাগে না। এটি তৈরির প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। সাধারণ নিয়মে চা তৈরি করে নামানোর আগে কয়েক কুঁচি বা বাটা আদা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটটিয়ে নিন। রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি এটি আপনার শ্বাসযন্ত্রকেও সুস্থ রাখে। আদা চা বর্ষার সময়ও আপনাকে পেটের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
৩. গোলমরিচ চা: গোলমরিচ ঔষধি গুণগুলির জন্য পরিচিত। গোলমরিচ চা পান আপনার মনকে শান্ত করে। গোলমরিচ হজমের উন্নতি করে এবং দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতেও উপকারী। দুই কাপ জল নিয়ে ফোটাতে থাকুন। এবার তিন থেকে চারটি গোলমরিচ পাতা (গোলমরিচও ব্যবহার করতে পারেন) গুঁড়ো করে নিন। গরম জলে চূর্ণ পাতাগুলি দিয়ে প্রায় ১০ মিনিট ফোটান। এখন, চা পাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে নিন।
৪. গ্রিন টি: গ্রিন টি পৃথিবীর অন্যতম স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসাবে বিবেচিত। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি'র বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। এটি অনেক সাধারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি বের করে দেওয়ার জন্যও এটি কার্যকর। এক্ষেত্রে এক কাপ জল ফুটিয়ে কিছু গ্রিন টি পাতা দিন। তারপর চা ছেঁকে পরিবেশন করুন। চাইলে গ্রিল টি ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। তবে দুক্ষেত্রেই চা তৈরির জন্য অন্তত ৫ মিনিট সময় দিন।
৫. লেবু চা: পেটের ব্যথা, বমিভাব, জ্বর, ক্লান্তি এবং কাশির জন্য লেবু চা ভাল ঘরোয়া প্রতিকার। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। চা তৈরির সময় ফুটন্ত জলে লেবু পাতা দিয়ে দিন। তারপর স্বাভাবিক নিয়মেই চা বানান। যদি লেবু পাতা না পান, তবে পাতিলেবুও ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে চা তৈরির পর পাতিলেবু চায়ের মধ্যে দিন। সামান্য লবণ দিন। তারপর সেটি পান করুন। শরীর তরতাজা থাকবে।