সরকারি স্কুলে রয়েছে বিপুল শিক্ষক শূন্যপদ, বাংলায় কত জানেন? তথ্য শিক্ষামন্ত্রীর

বর্তমানে সরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১৭.১ শতাংশ শিক্ষাব্যবস্থার পদ খালি রয়েছে। সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বড় শূন্যপদ বিহারে (২.৭ লক্ষ)। এর পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশে (২.১ লক্ষ)। শতাংশের ভিত্তিতে সিকিমের শূন্যপদ সর্বাধিক। এই রাজ্যে ৫৭.৫% শূন্যপদ রয়েছে। তার পরে রয়েছে ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ।

dd0faff8d017fbd0193a95d629f479fa

 

নয়াদিল্লি: বর্তমানে সরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১৭.১ শতাংশ শিক্ষাব্যবস্থার পদ খালি রয়েছে। সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বড় শূন্যপদ বিহারে (২.৭ লক্ষ)। এর পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশে (২.১ লক্ষ)। শতাংশের ভিত্তিতে সিকিমের শূন্যপদ সর্বাধিক। এই রাজ্যে ৫৭.৫% শূন্যপদ রয়েছে। তার পরে রয়েছে ঝাড়খণ্ড, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ।

শনিবার লোকসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল বলেছেন, “শিক্ষক নিয়োগ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বর্ধিত শিক্ষার্থীদের শক্তির কারণে অবসর গ্রহণ ও অতিরিক্ত প্রয়োজনীয়তার কারণে শূন্যপদগুলি দেখা দেয়। শিক্ষক নিয়োগ, চাকুরীর শর্ত এবং নিয়োগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত সরকারের আওতায় আসে।” মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০% এরও বেশি শূন্যপদে ছয়টি রাজ্য রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ঝাড়খণ্ড (৪০.১%), বিহার (৩৯.৯%), উত্তরপ্রদেশ (২৮.৮%), উত্তরাখণ্ড (২৪.৩%) এবং ছত্তিশগড় (২১.৭%)।

আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি চাঁদা নয়, ইচ্ছেমতো অবদানের ভিত্তিতে হবে আবাসনের পুজো

দেশে সরকারি বিদ্যালয়ে মোট ৬১.৮ লক্ষ অনুমোদিত পদ রয়েছে। যেখানে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের অধিবেশন থেকে ১০.৬ লক্ষ পদ শূন্য রয়েছে। যে সকল রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে কম শূন্যপদ রয়েছে তাদের মধ্যে মিজোরাম (শূন্যপদ নেই), মহারাষ্ট্র (০.৮%), তামিলনাড়ু (১.৪%), পাঞ্জাব (২.২%), গুজরাট (২.6%), নাগাল্যান্ড (২.7%) এবং কেরালার (২.৮%)। অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, ওড়িশা ও মেঘালয়ায়ও শূন্যতার হার ৫% এর চেয়ে কম। ১১ টি রাজ্যে ১১.১% থেকে ১৯.৫% এর মধ্যে শূন্যপদ রয়েছে। যার মধ্যে মধ্য প্রদেশ (১৯.৫%), জম্মু ও কাশ্মীর (১৬.৬%), কর্ণাটক (১৪.২%), অন্ধ্র প্রদেশ (১৪.১%), মণিপুর (১৩%), তেলেঙ্গানা (১২.৭%), রাজস্থান (১১.৬%), পশ্চিমবঙ্গ (১১.৩%) এবং দিল্লি (১১.১%)।

দেশ ও বাংলায় বিপুল পরিমাণ শিক্ষক শূন্যপদ থাকলেও ওই সমস্ত পদে কবে নিয়োগ হবে তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা৷ এমনিতেই গত ৭ বছর ধরে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ থমকে রয়েছে৷ শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় হাজার দু’য়েক মামলা জমে রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের৷ চলছে বিচার প্রক্রিয়া৷ অন্যদিকে প্রাথমিকে টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও এখনও পর্যন্ত শূন্যপদ ও পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্য৷ আর এই পরিস্থিতে শিক্ষক পদের প্রার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে তুমুল অসন্তোষ৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই সমস্ত শূন্যপদে আদৌ নিয়োগ হবে কি না, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের বড় অংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *