হাতি তাড়ানো অস্থায়ী চাকরি, ৩ জেলার ২৩০ শূন্যপদে ১.৩১ লক্ষ আবেদন

হাতি তাড়ানো অস্থায়ী চাকরি, ৩ জেলার ২৩০ শূন্যপদে ১.৩১ লক্ষ আবেদন

কলকাতা: দাবি করা হয়, বাংলায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে৷ বাংলায় কমেছে ৪০ শতাংশ বেকারি৷ কিন্তু, দাবির সাপেক্ষে বাস্তাব ফলাফল যে কি, বাংলার কর্মসংস্থানের হাল কেমন, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল রাজ্য সরকারের বনদফতরের নিয়োগ৷ কেননা, হাতি তাড়ানো থেকে বনজ সম্পদ সুরক্ষা দেওয়ার অস্থায়ী কাজে চাকরিপ্রার্থীদের বিপুল অংশগ্রহণ , চিন্তায় ফেলে খোদ দফতরের কর্তাদের৷

জানা গিয়েছে, পদের সংখ্যা ২৩০টি৷ তার জন্য শুধুমাত্র দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম মিলিয়ে আবেদন জমা পড়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার! পূর্ব মেদিনীপুরে বনজ সম্পদ সুরক্ষা দেওয়া কাজে বা বনসহায়ক চুক্তিভিত্তিক পদে আবেদন করেছেন ১৮ হাজার প্রার্থী৷ এইট পাশ যোগ্যতায় আবেদন চাওয়া হলেও এমএ থেকে শুরু করে এমএসসি ও বিএড ডিগ্রিধারী আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে৷ যা দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন খোদ বন দফতরের অফিসাররাও৷ আগামী ৫ অক্টোবর থেকে নিমতৌড়িতে বন দফতরের নবনির্মিত অফিসে শুরু হবে ইন্টারভিউ৷ প্রায় দু’মাস ধরে ইন্টারভিউ চলবে৷ প্রতিদিন ৪০০ প্রার্থীকে ডাকা হবে৷

করোনার মধ্যেই গত ২২ জুলাই গোটা রাজ্যে ২ হাজার বনসহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য৷ হাতি তাড়ানো, বনজ সম্পদ সুরক্ষা দেওয়া বনসহায়করাদের কাজ৷ ১০০ নম্বরের মূল্যায়নে বনসহায়ক পদে নিয়োগ করা হবে৷ বাংলা পড়তে-লিখতে পারলে ৬০ নম্বরের মূল্যায়ন হবে৷  ইংরেজি কিংবা হিন্দি পড়তে আরও ১০ নম্বর৷ জেনারেল নলেজ ২০ নম্বর৷ ফিটনেস পরীক্ষায় ১০ নম্বর৷ সফল হলে মাসিক ১০হাজার টাকা বেতন মিলবে৷

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হাজার-হাজার কর্মপ্রার্থীকে ডেকে ইন্টারভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বন দফতরের কর্মীদের একটা অংশ৷ ইন্টারভিউয়ে অংশ নেওয়া কর্মী ও প্রার্থীদের মধ্যে সংক্রামণ ছড়িয়ে পড়লে কী হবে? আশঙ্কা কর্মচারীদের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + 17 =