কালো মেঘ ঘন চুল কে না চায়? কিন্তু তাতে প্রচুর সমস্যা। ভেজা চুল শুকিয়ে গেলেই বপদ। কোঁকড়ানো চুলের জট ছাড়তে চায় না মোটেই। শ্যাম্পু করা চুলের ক্ষেত্রে তো আরও সমস্যা। শুকিয়ে গেলেই উসকো খুসকো। সেই চুল আঁচড়ানোই দুরুহ ব্যাপার। আর জট ছাড়ানো তো রীতিমতো বিভীষকা। তবে এর থেকে মুক্তির উপায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চুলে রং করলে বা ক্রমাগত হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার করলে চুলে জট পড়ে বেশি। এছাড়া কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট বা ব্লিচ বা নিয়মিত হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করলেও চুলে জট পড়ে। এসব থেকে বাঁচতে নিয়মিত চুলে পর্যাপ্ত তেল দিতে হবে। তা না হলে, চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। গরম জল একেবারেই চুলে দেওয়া উচিত নয়। প্রয়োজনে ঈষৎ উষ্ণ জল দেওয়া যেতে পারে। চুল যাতে দূষণের সংস্পর্শে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই বাইরে বের হলে স্কার্ফ ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে মিলতে পারে জট থেকে মুক্তি।
এ তো গেল জট কাটানোর কথা। কিন্তু কীভাবে মসৃণ জেল্লাদার চুল পাবেন?
- আমন্ড অয়েল ও ডিমের প্যাক চুলের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। দুটি উপাদান মিশিয়ে চুলে লাগান। তারপর চল্লিশ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন।
- চুলে নিয়মিত নারকেল তেল ও ভিটামিন ই মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে নিন।
- চুলের জট কাটাতে পাকা কলাকে চটকে তার সঙ্গে মধু ও নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
- রাতে মেথি ভিজিয়ে সেই মেথির জল পরদিন চুলে লাগান। তৈলাক্ত ভাব চলে যাবে।
- নারকেলের দুধ হালকা আঁচে গরম করে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। সুফল মিলবে।
- চুলে অ্যালোভেরা জেল কিন্তু দারুণ কাজ দেয়। এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে নারকেল তেল, অলিভ বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন।
- তিন চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চামচ মধুর মিশ্রণ নিয়মিত লাগালে চুলে জট পড়ে না।
জট কম পরার কয়েকটি উপায়
- নিয়মিত নারকেল তেলের সঙ্গে আমন্ড অয়েল হালকা গরম করে চুলে লাগান। এরপর স্নানের আগে পর্যন্ত চুল ঢেকে রাখুন।
- শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার বেযবহা করুন।
- চুলের নিচের দিক থেকে জট ছাড়াতে শুরু করুন। বড় দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে জট ছাড়ান।
- চুলের ডগা নিয়মিত ট্রিম করলে জট কম পড়ে।