১০ হাজার অস্থায়ী কর্মীর পদোন্নতি ও স্থায়ী করার নির্দেশ শ্রম দফতরের

১০ হাজার অস্থায়ী কর্মীর পদোন্নতি ও স্থায়ী করার নির্দেশ শ্রম দফতরের

কলকাতা: করোনা মহামারী রুখতে জারি হয়েছিল দীর্ঘ লকডাউন৷ ঘরবন্দি হয়েছিল গোটা ভারত৷ ধাপে ধাপে আনলক পর্ব শুরু হলেও মেটামনো যায়নি ক্ষতি৷ দীর্ঘ লকডাউন ও পরবর্তী আনলক পর্বে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল ছাঁটাই প্রক্রিয়া৷ কাজ হারিয়ে খিদের জ্বালাই মাইলের পর মাইল হাঁটতে বাধ্য হয়েছিলেন দেশের অন্তত ৬ কোটি শ্রমিক৷ শ্রমিকদের সেই দুর্দশায় দেখেছিল সরকার৷ পরে যদিও মিলেছে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি৷ শ্রমিকদের পাশে থাকার প্রযোগিতাও৷ কিন্তু, এখন সব অতীত৷ ধাপে ধাপে শুরু হয়েছে জীবনযুদ্ধ! এবার সেই যুদ্ধে কিছুটা হলেও সুখবর পেতে চলেছেন বাংলার প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক৷

রাজ্যের চটকল শ্রমিকদের স্বার্থে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী আগামী দেড় মাসের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার অস্থায়ী শ্রমিকের চাকরি স্থায়ী করার নির্দেশ মালিকপক্ষকে দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ শুধু স্থায়ী করাই নয়, একইসঙ্গে আরও ১০ হাজার অস্থায়ী শ্রমিকের পদোন্নতির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ মন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে সম্প্রতি এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে শ্রম দফতর সূত্রে খবর৷ স্থায়ীকরণ থেকে পদোন্নতির পাশাপাশি লকডাউনে চটকল শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতন যাতে দ্রুত মেটানোর হয়, সে ব্যাপারেও সক্রিয়তা দেখা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ একইসঙ্গে বোনাস সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷

সূত্রের খবর, চটকল শিল্পের সমস্যা মেটানো নিয়ে গত বছর ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করা হয়৷ তাতে ১০ হাজার অস্থায়ী শ্রমিককে স্থায়ী করার পক্ষে মত দিয়েছিল মালিকপক্ষ৷ কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি৷ তবে, এবার যদি সেই চুক্তি অনুযায়ী আগামী দেড় মাসের মধ্যে ২০ হাজার শ্রমিকের পক্ষে যদি কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খবর৷ শ্রম দফরতের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও শ্রমিক সংগঠনের একাংশ তুলছে প্রশ্ন৷ তবে, কেন মালিকপক্ষ গত দেড় বছর ধরে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি পালন করল না, তা নিয়েও সরব হয়েছেন শ্রমিক সংগঠনের একাংশ৷ এতদিন কেন সরকারের টনক নড়েনি? প্রশ্ন বাম শ্রমিক সংগঠনের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *