shah nadda
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাম মন্দিরের মতো এত বড় অনুষ্ঠানে দেখা গেল না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, সংঘের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি-সহ বিজেপির শীর্ষস্থানীয় বহু নেতাকে। আর রাম মন্দির আন্দোলনের প্রধান মুখ লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর জোশীকে কার্যত সেভাবে আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে। শেষ মুহূর্তে আদবানি ও জোশীর বাড়িতে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হলেও যেভাবে তাঁদের বয়সের কারণ দেখিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছে, তাতে বহুদিন ধরেই বিতর্কের ঝড় বইছে। কিন্তু নাড্ডা-শাহদের দেখা না যাওয়ায় বহু প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি আদবানি-জোশীদের মতো ইচ্ছা করেই কি ‘সাইড’ করে দেওয়া হল শাহ-নাড্ডাদের?
সমালোচকরা বলছেন যাতে প্রচারের সার্চলাইট পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরেই থাকে সেই কারণেই অন্যত্র কর্মসূচি ফেলে দিয়ে বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সোমবার ব্যস্ত করে দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু বিজেপি অত্যন্ত ডিসিপ্লিনড এবং রেজিমেন্টেড পার্টি, তাই যারা সোমবারের কর্মকাণ্ডে হাজির ছিলেন না তাঁরা প্রকাশ্যে কিছুই বলবেন না। কিন্তু বলা আর না বলার মধ্যেও অনেক কিছু বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। নিন্দুকরা বলছেন আদবানি-জোশীদের মতোই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘সাইড’ করে দেওয়া হয়েছে শাহ-নাড্ডাদের। বিষয়টি নিয়ে সেই মহলের ব্যাখ্যা, শাহ-নাড্ডারা যে মাপের নেতা তাতে মঞ্চে থাকলে তাঁদের বক্তব্য রাখতে দিতেই হতো। তাতে ক্যামেরার ফ্লাশ বালবের ঝলকানি তাঁদের উপরেও এসে পড়ত। সেক্ষেত্রে উদ্বোধনী কর্মসূচির জাঁকজমকের ছোঁয়া ও কৃতিত্বের ভাগ প্রধানমন্ত্রীর বাইরেও ছড়িয়ে পড়ত অনেকের মধ্যে। তবে কি সেই কারণেই শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বকে দেখা যায়নি অযোধ্যায়? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে।
ঘটনা হল আশির দশকের শেষ দিক থেকে রথযাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে রাম মন্দির আন্দোলনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর জোশী, ঊমা ভারতী, অশোক সিঙ্ঘলরা। সেই সময় নরেন্দ্র মোদি প্রথম সারি তো দূরের কথা, অনেক পিছনের সারির নেতা ছিলেন। বলা যায় তাঁকে তখন সেভাবে কেউ চিনতেনই না। সেই জায়গা থেকে রাম মন্দির আন্দোলন যাদের নেতৃত্বে হয়েছে তাঁরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাত্য থাকায় প্রশ্ন তো উঠবেই। সোমবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঊমা ভারতী থাকলেও সামনের সারিতে তাঁকে দেখা যায়নি। বিরোধীদের অভিযোগ রাম মন্দির উদ্বোধনের নামে সোমবার কার্যত ‘নরেন্দ্র মোদি শো’ হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে মোদির পরেই যার স্থান রয়েছে বলে ধরা হয় সেই অমিত শাহ না থাকায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। সবমিলিয়ে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চর্চা শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে।